মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরো:
সূর্যদয় এবং সূর্যাস্তের বেলাভূমি কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। প্রাকৃতিক অপার সৌন্দর্য যে কাউকেই মুগ্ধ করে।কিন্তু জিরো পয়েন্টের পাশেই যত্রতত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ময়লা আবর্জনাসহ হোটেলের পঁচা বাসি খাবারের বর্জ্য।এর ফলে পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে।বিভিন্ন নিচু স্থানে দীর্ঘ দিন ধরে জমে রয়েছে পানি।ওইসব হোটেলের পচাবাসি খাবারের বর্জ্যের দুর্গন্ধে আগত পর্যটকদের চোখে মুখে দেখা গেছে বিরক্তির ছাপ।
তবে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা এসব বর্জ্য অপসারন না করার ফলে এমন দুরাবস্থা হয়েছে বলে দাবি পর্যটক সহ স্থানীয়দের। সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়,কুয়াকাটা সৈকতের বেড়িবাঁধের কোল ঘেঁষে ফাঁকা জায়গায় বেশ কয়েকটি হোটেলের বর্জ্য ফেলা হচ্ছে।এসব পানি নিচু স্থানে জমে রয়েছে।দীর্ঘদিন ধরে পরে থাকার খাবারের অবশিষ্টাংশ এবং পঁচা পানি ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।আর এ দুর্গন্ধে অনেকটা বিরক্ত পর্যটকরা।
এছাড়া আগত পর্যটকদের খাবারের অবশিষ্টাংশসহ বিভিন্ন প্লাষ্টিকের বোতল ফেলে রাখছে সৈকতে।এমনকি জিরো পয়েন্টের পশ্চিম পাশে ও পূর্ব পাশে গড়ে ওঠা অস্থায়ী ফুসকা-চটপটি এবং ফিস ফ্রাইয়ের দোকানের বর্জ্যও ফেলে রাখা হয় সৈকতে।পর্যটক শামিম-শারমিন দম্পত্তি জানান,কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাদের মুগ্ধ করেছে।কিন্তু এসব জমে থাকা পানি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।বসে চা-পান করার মতো কোন অবস্থা নেই। পর্যটক আরাফাত রহমান বলেন,এখানে যে যার মতে করে ব্যবসা পরিচালনা করছে।তারাই বিভিন্ন স্থানে ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখছে।তবে সার্বক্ষনিক সৈকত এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে কর্তৃপক্ষ কে কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করেছেন তারা।চা বিক্রেতা হানিফ গাজী জানান,দুর্গন্ধে এখানে বসা যায়না।খুব কষ্ট করে ব্যবসা করি।পর্যটকরা আমাদের গালি দেয়।তবে সৈকতের চটপটি ব্যবসায়ী খলিল মিয়া বলেন,সৈকত সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি।
পৌরসভার কয়েকজন পরিছন্নকর্মী সৈকত পরিচ্ছন্ন করে। উপজেলা সেনিটারী ইন্সপেক্টর মিনাল চন্দ্র দেবনাথ বলেন, অল্প কয়েক দিন আগেই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার তৈরী এবং যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয়েছে।এসময় খাবার রেস্তোরা মালিককে জরিমানা করেছি।যদি আবারো এরকম অভিযোগ পাই প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।কুয়াকাটা পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার সাংবাদিকদের জানায়, পৌরসভা থেকে হোটেল রেস্তোরা মালিকদের একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছে।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।