মোঃ শফিকুল ইসলাম, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে আলোচিত ইডেন কলেজের ছাত্রী গত ১১আগস্ট রাত ৭ঃ০০ঘটিকায় রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের জোলাপাড়া গ্রামে বিজয় কৃষ্ণ রায়ের বাসা ত্যাগ করে ফিরে গেলেন নিজ বাড়িতে। তার ঢাকার কাটারা চকবাজারের বাড়িতে, ফেরার বিষয় টি তিনি সাংবাদিক কে নিশ্চিত করেন। শুক্রবার বিকেলে বিজয় কৃষ্ণ রায় ও শিউলীর বিষয় টি আলোচনার জন্য বিজয় কৃষ্ণ রায়ের বাসায় শালিস বৈঠকে বসেন চাকিরপশার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম,রাজারহাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক এবং রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী সহ অত্র এলাকার স্থানীয় গন্যমান্য ও রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ। এসময় সালিশি বৈঠক চলাকালে শিউলি রাণী শীলের কাছে বিজয় কৃষ্ণ রায়ের সাথে তার বিয়ের বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে বলেন। কিন্তু শিউলি রাণী সরকারী রেজিস্ট্রারী বা নিকাহ নিবন্ধন দেখাতে ব্যর্থ হন।রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহ অন্যান্য গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ শিউলি রাণী কে বিভিন্নভাবে বুঝায়ে তার নিজ বাড়িতে ফিরে যেতে রাজি করান।
সালিশ বৈঠক শেষে শিউলি রাণী তার নিজ বাড়ির যাওয়ার জন্য রাজি হলে তাকে রাতেই নাবিল পরিবহনে ঢাকায় পাঠানো হয়। সাংবাদিক শিউলি রাণী কে ফোন দিয়ে তার নিজ বাড়িতে ফেরার বিষয় টি নিশ্চিত হন।
উল্লেখ বিজয় কৃষ্ণ রায় গত ৪ই আগস্ট উচ্চতর ডিগ্রি অর্জনে আমেরিকার ওয়াইন স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
এবিষয়ে রাজারহাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন,মেয়েটির কাছে বিয়ের ডকুমেন্ট চাওয়া হয় কিন্তু মেয়ে কোন ডকুমেন্ট দেখাতে পারেনি। পরে তাকে বুঝিয়ে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়। চাকিরপশার ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম বলেন,মেয়ে কোন রকম আইন সম্মত কাগজ পত্র দেখাতে পারেনি তাই তাকে ঢাকায় ফেরত যেতে বলা হলে তিনি স্বেচ্ছায় চলে যান।
এবিষয়ে বিজয় কৃষ্ণ রায়ের বাবা শচিন্দ্রনাথ বলেন, আমি বিচারের ভার চেয়ারম্যান ও গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপর ন্যাস্ত করেছি উনারা যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মেনে নিবো।
রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ ইকবাল সোহরাওয়ার্দী বাপ্পী বলেন,মেয়েটি বিয়ের বৈধ কাগজ পত্র দেখাতে না পারায়,তাকে বিজয়ের সাথে বিয়ের কাগজপত্র নিয়ে আসতে বলা হয়। বিয়ের বৈধ ডকুমেন্ট দেখাতে পারলে তাকে বিজয়ের বাড়িতে স্ত্রীর স্বীকৃতি দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
মোঃ শফিকুল ইসলাম
কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধি