এম মনির চৌধুরী রানা, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ
দেশের সড়ক, রেল ও নৌ-পথে যাতায়াতের সময়ে হাইওয়ের বিরতি রেষ্টুরেন্টগুলো যাত্রীসাধারণের সেহেরী ও ইফতারিতে অতিরিক্ত মূল্য আদায়ের কারণে নিম্নবিত্ত ও দরিদ্র যাত্রীরা দুর্ভোগে পরছেন বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। সড়ক পথে দুরপাল্লার যাতায়াতে মাঝপথে বাস কোম্পানী কর্তৃক নির্ধারিত বিরতি রেষ্টুরেন্টগুলোতে বাসের যাত্রীসাধারণকে সেহেরী ও ইফতারি করতে হয়। এতে দেখা যাচ্ছে, ইফতারিতে ১টি পেয়াজু , ১টি বেগুনী, ১পিস জিলাপি, ১/২টি খেজুর, ১টি আলুর চপ, ৫০ গ্রাম মুড়ি, ৫০ গ্রাম ছোলা, ১টি ছোট সাইজের কলা অথবা ১ পিছ ৪ ভাগের ১ অংশ আপেল, ১ গ্লাস সরবত, ২৫০এমএল ১ বোতল পানি সরবরাহ করে থাকে। এসব ইফতারি যেকোন সাধারণ রেস্টুরেন্ট থেকে কিনতে সাধারণত ৮০ থেকে ৯০ টাকা লাগলে কুমিল্লা, লোহাগড়া, বগুড়া, সিরাজগঞ্জের যে কোন হাইওয়ে বিরতি রেষ্টুরেন্টগুলোতে এইরকম ইফতারির প্লেট প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা হারে মূল্য আদায় করা হচ্ছে। অভিযোগ রয়েছে যেসব কোম্পানির বাস যেসব রেস্টুরেন্টে যাত্রা বিরতিদেয় ঐসব রেষ্টুরেন্টগুলোর সাথে বাস কোম্পানীর বড় অংকের বাৎসরিক কমিশন বানিজ্য রয়েছে। এছাড়াও বাসের চালক, সুপারভাইজার ও সহকারিসহ কোম্পানির অন্যান্য স্টাফেরা এসব রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন বিনামূল্য খাওয়া দাওয়া করে। এসব কারণে রেষ্টুরেন্টগুলো যাত্রীসাধারণের কাছে পরিবেশিত প্রতিটি খাবারের গলাকাটা মূল্য আদায় করছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। সেহেরীতে ছোট ছোট ৫পিছ গরুর মাংস এসব হোটেলগুলো ২৫০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে ৩পিস মাংস থাকলে ১পিস হাড্ডি, ১পিস চবি থাকে। ২৫০ গ্রাম সাইজের ১পিস তেলাপিয়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, ২০০ গ্রাম সাইজের রুই ২৫০ টাকা, ২০০ গ্রাম ওজনে ২পিস পাবদা ২০০ টাকা হারে মূল্য আদায় করা হচ্ছে। অধিকাংশ রেষ্টুরেন্টে কেউ ১ প্লেট ভাত খেলেও ৩ প্লেট ভাতের বিল আদায়ের অপকৌশল হিসেবে জন প্রতি ভাতের বিল ৫০/৬০ টাকা হারে আদায় করছেন। দেড় কাপের সমপরিমান পাতলা ডালের মূল্য ২০ টাকা আদায় করছেন যা ১ প্লেট ভাত কোনরকমে ভেজানো যায়। এদিকে রেলপথে চলাচলকারী ট্রেনে যাত্রীদের সেহেরী ও ইফতারির মূল্য তালিকা অনুযায়ী প্রতিটি কোচে লাগানো এবং রশিদ প্রদান করে মূল্য আদায়ের নিয়ম লংঘন করে ইচ্ছেমত মূল্য আদায় করছেন রেল কর্তৃকপক্ষের নিযুক্ত বেসরকারী ইজারাদারেরা। নৌ-পথের বিলাশবহুল লঞ্চের কেন্টিনগুলোতে পরিবেশিত সেহেরি ও ইফতারির গলাকাটা মূল্য আদায়ের অভিযোগ রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে সাধারণ যাত্রীদের সেহেরি ও ইফতারির মূল্য নিয়ন্ত্রনে রেষ্টুরেন্ট মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।