বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ
মুন্সীগঞ্জ কারাগারে অসুস্থ হয়ে কয়েদির মৃত্যু কালিগঞ্জের কৃতি সন্তান এ্যাডঃ আব্দুস সাত্তার পিপি নিযুক্ত হলেন কালিগঞ্জ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে যোগদান করেন হাফিজুর রহমান কালিগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতির প্রতিবাদে শাস্তির দাবীতে  মানববন্ধন অনুষ্ঠিত  সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে উধাও মাদ্রাসা সুপার,সুপারের নিয়োগ বাতিল চায় এলাকাবাসী আল্লাহওয়ালাদের সান্নিধ্যে যেতে হবে: মুফতী খলীল আহমদ কাসেমী  বোয়ালখালীতে এসএ সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডকে বিশ হাজার জরিমানা ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগ নেতা আটক চারঘাটে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  পুলিশের পোশাক পরে গরু চুরির আটক চারজন 

বেঁচে আছে শুধু ৬ মাসের মুক্তা নান্দাইলে সড়ক দূর্ঘটনায় বউ-শ্বাশুরী নিহত

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৫৫ বার পঠিত

স্টাফ রিপোর্টার ঃ

ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইজিবাইক ও মাইক্রোবাস সংর্ঘষে সড়ক দূর্ঘটনায় পুত্র বধূ বৃষ্টি আক্তার (২১) ও শ্বাশুরী জহুরা খাতুন (৫০) নামে দুই নারী নিহত হয়েছে। সোমবার (১৭ই এপ্রিল) ইফতার পূর্ব নান্দাইল উপজেলার অরণ্যপাশা নামক ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। তবে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সর্দ্দি জ্বরে আক্রান্ত ছয় মাসের মুক্তা খাতুনকে নিয়ে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন মা ও দাদি। ঔষধ নিয়ে ইফতারের পূর্বে একটি ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। কিন্তু বাড়ির পাশেই সড়ক দূর্ঘটনায় তারা দুজনই মারা যান। মুমূর্ষ অবস্থায় মুক্তা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উপজেলার ৫নং গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিমের স্ত্রী জহুরা খাতুন(৫০) এবং তাঁর পুত্রবধূ বৃষ্টি আক্তার(২১)। বৃষ্টির ছয়মাস বয়সি মেয়ে মুক্তা খাতুনকে নিয়ে স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারের ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ইফতারের পূর্বেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। তাদের বহন করা ইজিবাইকটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহা সড়ক ধরে অরণ্যপাশার নঈমুদ্দিন সরকারের বাড়ির সামলে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস তাদের বহন করা ইজিবাইকটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।এতেদুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ইজিবাইকের ভিতরে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাশুড়ী জহুরা খাতুন। মুমূর্ষ অবস্থায় তাৎক্ষনিক বৃষ্টি ও মুক্তাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার সময় পথিমধ্যে তারঘাটা নামক স্থানে বৃষ্টি মারা যান। বৃষ্টির চাচাত ভাই মোশারফ হোসেন জানান,ওইদিন রাতেই শিশু বাচ্চা মুক্তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা জানতে পেরেছেন বাচ্চাটি মাথায় জখমের দাগ রয়েছে। জহুরা খাতুনের ভাই ফজলু মিয়া ও বৃষ্টির পিতা সোনা মিয়া জানান,ময়না তদন্ত ছাড়াই তাঁরা লাশ দাফনের অনুমতি পেয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই দুজনের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।তবে মাইক্রোবাসটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।