স্টাফ রিপোর্টার ঃ
ময়মনসিংহের নান্দাইলে ইজিবাইক ও মাইক্রোবাস সংর্ঘষে সড়ক দূর্ঘটনায় পুত্র বধূ বৃষ্টি আক্তার (২১) ও শ্বাশুরী জহুরা খাতুন (৫০) নামে দুই নারী নিহত হয়েছে। সোমবার (১৭ই এপ্রিল) ইফতার পূর্ব নান্দাইল উপজেলার অরণ্যপাশা নামক ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। তবে ইজিবাইকটি দুমড়ে-মুচড়ে গেলেও মাইক্রোবাসটি পালিয়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, সর্দ্দি জ্বরে আক্রান্ত ছয় মাসের মুক্তা খাতুনকে নিয়ে স্থানীয় ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলেন মা ও দাদি। ঔষধ নিয়ে ইফতারের পূর্বে একটি ইজিবাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন তারা। কিন্তু বাড়ির পাশেই সড়ক দূর্ঘটনায় তারা দুজনই মারা যান। মুমূর্ষ অবস্থায় মুক্তা এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। উপজেলার ৫নং গাংগাইল ইউনিয়নের অরণ্যপাশা গ্রামের কৃষক আব্দুল হেকিমের স্ত্রী জহুরা খাতুন(৫০) এবং তাঁর পুত্রবধূ বৃষ্টি আক্তার(২১)। বৃষ্টির ছয়মাস বয়সি মেয়ে মুক্তা খাতুনকে নিয়ে স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারের ডাক্তারের কাছে যাচ্ছিলেন। সেখান থেকে ইফতারের পূর্বেই বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন তারা। তাদের বহন করা ইজিবাইকটি ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহা সড়ক ধরে অরণ্যপাশার নঈমুদ্দিন সরকারের বাড়ির সামলে এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস তাদের বহন করা ইজিবাইকটিকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়।এতেদুমড়ে মুচড়ে যাওয়া ইজিবাইকের ভিতরে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান শাশুড়ী জহুরা খাতুন। মুমূর্ষ অবস্থায় তাৎক্ষনিক বৃষ্টি ও মুক্তাকে কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেবার সময় পথিমধ্যে তারঘাটা নামক স্থানে বৃষ্টি মারা যান। বৃষ্টির চাচাত ভাই মোশারফ হোসেন জানান,ওইদিন রাতেই শিশু বাচ্চা মুক্তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানেই সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তারা জানতে পেরেছেন বাচ্চাটি মাথায় জখমের দাগ রয়েছে। জহুরা খাতুনের ভাই ফজলু মিয়া ও বৃষ্টির পিতা সোনা মিয়া জানান,ময়না তদন্ত ছাড়াই তাঁরা লাশ দাফনের অনুমতি পেয়েছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ শফিউর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্ত ছাড়াই দুজনের লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।তবে মাইক্রোবাসটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি।