শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
বোয়ালখালীতে পলিথিন মজুদ রাখায় দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা  ক্লাস চলাকালীন সময় শিক্ষিকার উপর হামলা বিশ্ব এন্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে সুনামগঞ্জে র‌্যালি ও আলোচনা সভা মধ্যনগরে কৃষকদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত  সাফ জয়ী তিন ফুটবলারকে সাতক্ষীরায় লাল গণসংবর্ধনা  সালথায় স্কুলে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল প্রধান শিক্ষকের বকশীগঞ্জে নিলাখিয়া বিএনপি নেতাকে স্বপদে বহালের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন  চারঘাটের সাংবাদিকদের সাথে জেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দের মতবিনিময়  নওগাঁ মান্দায় আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত  শ্রেণীকক্ষে ঢুকে শিক্ষিকার উপর হামলা 

বেলকুচিতে আধিপত্য ঠিক রাখতে ডিজিটাল নোংরামির উৎসব।

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই, ২০২২
  • ৩৯৬ বার পঠিত

 

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

আওয়ামী লীগ সরকারের টানা ৩য় মেয়াদে বিরোধী দল বলতে কিছু নেই।
বিএনপি সহ অন্য দল গুলো নিজেদের ঘর সামলাতেই টালমাটাল।

দেশের প্রতিটি স্থানেই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেন আওয়ামী লীগোই বিরোধী দলের ভুমিকায় রয়েছে।

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতি অগুছালো থাকলেও প্রাচীন এই সংগঠনের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সংসদ সদস্য ও বেলকুচি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মমোনি মন্ডল এমপি।
বেলকুচি সহযোগী সংগঠন গুলির বেহাল অবস্থা নেই রাজনৈতিক ঐতিহ্য, কোনঠাসা হয়ে আছে প্রবীন নেতারা।

বেলকুচি উপজেলায় আওয়ামী লীগের বিরোধী দলের ভুমিকায় আছে আওয়ামী লীগ থেকে ছিটকে পরা সতন্ত্র মেয়রের সমর্থকদের একাংশ।

খোজ নিয়ে যানা যায় নৌকার বিদ্রোহী মেয়র সাজ্জাদুল রেজা বেলকুচির প্রবীণ রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সাবেক মন্ত্রী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের পুতরা।
লতিফ বিশ্বাসের মেয়ে সুমা বিশ্বাসের সাথে সাজ্জাদুল রেজার বড় ভাই ততকালীন সময়ে ছাত্রদল থেকে নির্বাচিত বেলকুচি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি বর্তমান বিদ্রোহী উপজেলা চেয়ারম্যান সাজেদুল ইসলামের সাথে বিয়ে হবার পর থেকেই আর যেন পিছনে ফিরতে হয়নি এই পরিবারের।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি, উপজেলা যুব লীগের আহবায়ক হয়ে মেয়রের চেয়ার আসিন করেন তারোই মাওউ (লতিফ বিশ্বাস পত্নী) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আশানুর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।

ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক থাকা অবস্থায় লতিফ বিশ্বাসের ছত্রছায়ায় একক অধিপত্য বিস্তার করেন সাজ্জাদুল রেজা। তার দাপটে বেলকুচিতে যেন বাঘে মহিষে এক ঘাটে জ্বল খায়। তার কথার অবাধ্য হোলেই যেন নেমে আসে ঘোর আমাবস্যার অন্ধকার।
তার হাতে নির্যাতনের স্বীকার আওয়ামী লীগের উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী আব্দুল হামিদ কমান্ডার, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক খান ঘোঘণ, মোহাম্মাদ আলী আকন্দ সহ অসংখ্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী।
ভয়ে বাধ্য হয়ে তার কর্মী হয়ে কাজ করতে বাধ্য হোয়েছে অসংখ্য প্রবীণ নেতাকর্মী কথা না শুনলেই যে আমাবস্যার অন্ধকার নেমে আসবে!

২০১৪ তে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে আসেন মন্ডল গ্রুপের মালিক আব্দুল মজিদ মন্ডল।
মজিদ মন্ডলের মনোনয়ন নিয়ে বেলকুচিতে আগমনী গাড়ি বহরে হামলা করে আবার সময় মত তারোই একনিষ্ঠ সমর্থক হয়ে বেলকুচিতে একক অধিপত্য বিস্তার করে সাজ্জাদুল রেজা এবং প্লটিনেয় যারি ছায়ায় রেজার রাজনৈতিক সৃষ্টি সেই প্রবীন নেতা, সাবেক মন্ত্রী আব্দুল লতিফ বিশ্বাসের সাথে। সোস্যাল মিডিয়ায় অকথ্য ভাষায় গালাগালি এবং হুমকি ধামকি দিয়ে হয়ে যায় বেলকুচির অলিখিত মাফিয়া।
তার কথায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগের চলতে হবে না চললেই তাদের বিরুদ্ধে নানা স্বরযন্ত্রে মেতে উঠে এই বিদ্রোহী মেয়র।

বর্তমান এমপির সমর্থিত ছাত্রলীগের কমিটি হবার পর থেকেই বিদ্রোহী মেয়র সাজ্জাদুল রেজার নোংরামি, ভয়ভীতি, হুমকি শুরু হয়েছে নতুন কমিটির নেতাদের বিরুদ্ধে।
কখনো অনুপ্রবেশ কারী হিসাবে গুজব, কখন চাদাবাজ, কখনো মাদক ব্যাবসী, এমনি চোর বানাতেও বাদ দেয়নি তাদের।
এরি মাঝে শুরু হয়েছে বিদ্রোহী মেয়র সাজ্জাদুল রেজা বাহিনীর ডিজিটাল নোংরামি।
বেলকুচি উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের নামে এডিট করে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের কথোপকথন বানিয়ে ছড়িয়ে দিয়েছে তা সোস্যাল মিডিয়াতে।
এতে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক নয় বরং ছাত্রলীগ নামক প্রাচীণ সংগঠনের চরিত্র হন হোচ্ছে বলেই মনে করেন সাবেক ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
যে মেয়েকে জরিয়ে কথোকপথের এডিট স্কিনশট বানানো হয়েছে তাতে নেই কনো মেয়ের নাম, নেই ছবি আসলে আদোতে কনো মেয়ে আছে নাকি ভয়েই গুজবে ভাসছে বেলকুচিবাসী।

নানা ভাবে বিদ্রোহী মেয়র সাজ্জাদুল রেজা আর আধিপত্য ঠিক রাখতে এমপি সমর্থিত ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করার খেলায় মেতেছে বিদ্রোহী রেজা বাহিনী।

মেয়র তার আধিপত্য ঠিক রাখতে এহেন কাজ নেই যা করতে পারেনা। তাকে রুখবার সাধ্য আছে কার! নেই তার সাংগঠনিক সীমানা কারণ সে বিদ্রোহী হয়েই মেয়র হয়েছে।
তাকে আটকাবে এমন ক্ষমতাবান কাউকে দেখাই যায়না বলেই ধরে নিয়েছেন বেলকুচিবাসী।

তাহলে অপ্রতিরোধ্য থাকবে বিদ্রোহী মেয়র সাজ্জাদুল রেজা???

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।