এম এ মান্নান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার হাওর গুলোতে বৈশাখের সোনালী ফসল বোরো ধান গাছে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণে শুকিয়ে যাচ্ছে ধানের শীষ, কৃষক হয়ে পড়ছে দিশেহারা । এ-ই রোগটির আক্রমণে দেখা গেছে গাছের গোড়া থেকে কালো হয়ে, ধীরে ধীরে গাছটি মরে যায়,এবং রোগের পাদুর্ভাবে হাজার হাজার হেক্টর জমির ধান বিনিষ্ঠ হতে চলছে । এতে ব্যাপক ফসল হানীর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা ।
প্রায় এক সপ্তাহ আগে হঠাৎ ব্লাস্ট রোগের পাদুর্ভাব হয়েছে, উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ধান ক্ষেতে এই রোগটি দেখা গেছে । আক্রান্ত জমি থেকে ধীরে ধীরে রোগটি বিস্তারলাভ করে এবং আশপাশের জমিগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ছে এ রোগ । এ অবস্থায় সাড়া বছরের একটি মাত্র ফসলে দেখা দিয়েছে বিঘ্নি,এতে এলাকার কৃষক হয়ে পড়ছে উদ্বিগ্ন ও দিশেহারা।
মধ্যনগর উপজেলার ছোট ঘোরাডোবা ও বড় ঘোরাডোবা হাওরে ৩৭৪ হেক্টর জমিতে ব্রি ২৮-২৯-৮৮-৮৯-এবং বিভিন্ন জাতের হাইব্রিড ধান আবাদ করেছে। কিন্তু ধান পাকা শুরু হওয়ার সাথে সাথে হঠাৎ করেই ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে উপজেলার সবকটি হাওরে । বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ ছিটিয়েও কোন কাজ হয়নি। এতে ফলনের ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটতে পারে বলে কৃষকেরা আশঙ্কা করছেন।
উপজেলার আনোয়ারপুর গ্রামের কৃষক মোঃ হবিমিয়া বলেন, আমার ব্রি ২৮ ধানে ব্লাস্ট রোগ আক্রমণ করেছে। অনেক ওষুধ ছিটিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না,আমি এখন কি করবো বুঝতে পারছি না।
এলাকায় ঘুরে একাধিক কৃষকের সাথে আলাপ কালে তারা বলেন, বোরো আবাদ শুরুর দিকে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায়, তেমন কোন রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়নি। কৃষকরা ভাল ফলনের আশা করেছিল। কিন্তু ধান এখন পাকতে শুরু করেছে, এরমধ্যেই ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ করাতে ফসলের ক্ষতির পরিমাণ কি হবে এখনো নির্ণয় করা যাচ্ছে না। বৈশাখের সোনালী ফসল রোগাক্রান্ত হয়ে সু ফসল বাধাগ্রস্ত হওয়ায় কৃষকদের মুখের হাসি স্থবির হয়ে গেছে।
মধ্যনগর দায়িত্বে থাকা উপসহকারী কৃষি অফিসার কবীর হোসেন বলেন, ব্রি ২৮ ধান চাষাবাদে এবছর নিষেধ করেছিলাম কিন্তু এরপরেও কৃষকরা চাষাবাদ করেছে। ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে, আমি ২ মাস আগেই কৃষকদের ট্রিটমেন্ট দিয়েছি। যারা ট্রিটমেন্ট অনুযায়ী ঔষধটি ব্যবহার করেছে তারা উপকৃত হয়েছে। যারা ব্যবহার করেনি তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখনো ঔষধ স্প্রে করলে রোগ দমনে অনেকটা উপকার পাওয়া যাবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, এখন পর্যন্ত খুব একটা আতংকের কিছু নাই, প্রতি বিঘায় ট্রুপার ৭৫ ডব্লিউপি ১২ গ্রাম ১৬ লিটার পানি স্প্রে করলে ব্লাস্ট রোগের আক্রমণ ঠেকাতে পারে। প্রথম ডোজ দেওয়ার ১০ দিন পর দ্বিতীয় ডোজ দিতে হবে। কিন্তু কৃষকরা কৃষি অফিসের পরামর্শ মেনে চলেন না। তারা তাদের মতো করে কাজ করার চেষ্টা করেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হোসেন আল বান্না বলেন, হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন, রাতে ঠান্ডা দিনে গরম ঘুড়ি ঘুড়ি বৃষ্টি কিংবা ঝড় হওয়ার কারণে কিছু জমিতে ব্লাস্ট রোগ দেখা দিয়েছে। আমি রোগ প্রতিরোধের জন্য প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে কৃষক সমাবেশ করেছি এবং রোগবালাই প্রতিরোধের জন্য লিফলেট বিতরণ করেছি। অথচ কৃষি পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধটি ব্যবহার করেনি কৃষকরা ,এখনো ব্যবহার করলে রোগবালাই থেকে রক্ষা পাবে কৃষক।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।