ব্লাকমেইলের কারণে আত্মহত্যা করেছিল ছোঁয়া-
অপরাধীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ রিপোর্টারঃ আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম,কিন্তু এই পৃথিবীর নরপশুরা আমাকে বাঁচতে দেয়নি,ওরা আমাকে কাফনের কাপড় পড়ায় ছাড়ছে- এভাবেই সুইসাইড নোট লিখে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বামনডাঙ্গায় গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছিল দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহারিয়ার জান্নাত ছোঁয়া।
রায়হান কবীর মজিদকে অপরাধী করে সুইসাইড নোট পরিবার সূত্র থেকে আরো জানা যায়, শাহারিয়ার জান্নাত ছোঁয়াকে কৌশলে প্রেমের ফাঁদে ফেলে রায়হান করিব মজিদ দুজনের ঘনিষ্ঠ কিছু সময় কাটানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছেড়ে দিবে মর্মে চাপ দিত।বিভন্ন সময় টাকা পয়সা হাতিয়ে নিত।আরো কিছু আপত্তিকর ঘটনার ছবি ও ভিডিও দিয়ে ছোঁয়াকে সবসময় ব্লাকমেইল ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতো। এসব থেকে মুক্তি পেতেই শাহারিয়ার জান্নাত ছোঁয়া আত্মহত্যার পথ বেচে নিয়েছিল।
এঘটনায় বখাটে প্রেমিক রায়হান কবীর মজিদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে। শনিবার (২৪শে ফেব্রুয়ারী) দুপুরে উপজেলার বামনডাঙ্গায় কাটগড়া দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেছে শাহারিয়ার জান্নাত ছোঁয়ার বন্ধু-বান্ধব ও এলাকাবাসী। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ঐ এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভে সুষ্ঠু তদন্ত করে রায়হান করীব মজিদকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তারা।
শাহারিয়ার জান্নাত ছোয়া(১৬) নগর কাটগড়া মনমথ গ্রামের শাহাজান মিয়ার মেয়ে ও কাটগড়া দ্বি মুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
অভিযুক্ত রায়হান কবীর মজিদ (১৭) বামনডাঙ্গা রেল কলোনি গ্রামের মৃত শহিদুল ইসলামের ছেলে এবং ঐ বিদ্যালয়েরই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী।এ প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত ইউডি মামলা ছাড়া অন্য কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
ঘটনা জানার জন্য সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি'র নাম্বারে একাধিক বার ফোন দিলে নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।