আলী আজীম,মোংলা (বাগেরহাট):
ভারতীয় মালিকানাধীন বিশ্বের দীর্ঘতম প্রমোদতরী ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’ ও পর্যটকদের অভ্যার্থনা দিয়েছে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ।
বিশ্বের দীর্ঘতম এ প্রমোদতরী ‘এম ভি গঙ্গা বিলাস’ বেলা ২টার দিকে মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে নোঙ্গরকরলে বন্দর কর্তৃপক্ষ ওই অভ্যার্থনার আয়োজন করে। এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে সুন্দরবনের নৌ সীমান্ত পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে এ প্রমোদতরী ‘গঙ্গা বিলাস’। দেশের সীমান্তথেকে সুন্দরবনের নৌপথে ভ্রমণকালে নিরাপত্তা নিশ্চত করতে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড পশ্চিমজোনের একটি টিম রয়েছেএ প্রমোদতরীতে। গত ১৩ জানুয়ারি তরীটি উদ্বোধন করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোংলা বন্দরের ৭ নম্বর জেটিতে অবস্থানরত বিলাসবহুল পাঁচ তারকামানের প্রমোদতরী ও বিদেশী পর্যটকদের স্বাগত ও অভ্যার্থনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহামুদ চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার প্রনব ভর্মা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মীর এরশাদ আলী। এ ছাড়াও নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয়ের সচিব মোস্তফাকামাল, বিআইডব্লিউটিএ এর চেয়ারম্যান গোলাম সাদেকসহ নৌ-পরিবহন মন্ত্রনালয় ও মোংলা বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এ অভ্যার্থনার মধ্য দিয়ে বন্ধুপ্রতিম দেশের সাথে বন্ধুত্ব ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে অভ্যার্থনা অনুষ্ঠানে বক্তারা অভিমত প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে ‘গঙ্গা বিলাস’ খুলনা জেলার কয়রার আংটিহারা হয়ে ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে প্রবেশকরে মোংলা বন্দর হয়ে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজমসজিদ এলাকা ঘুরবেন বিদেশি পর্যটকরা। পরে নৌ পথে বরিশাল হয়ে মেঘনা ঘাটে অবস্থান করে সোনারগাঁও ও ঢাকায় ভ্রমণ করবেন প্রমোদতরী গঙ্গা বিলাসের যাত্রীরা। পরবর্তীতে টাঙ্গাইলও সিরাজগঞ্জ হয়ে কুড়িগ্রামের চিলমারী, রংপুরের দর্শনীয় স্থানে ভ্রমণের সুযোগ থাকছে তাদের। ভারতে প্রবেশ করবে চিলমারী থেকে। গঙ্গা বিলাসের দেশের অভ্যান্তরে থাকাকালীন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ প্রটোকলরুটের নাব্য রক্ষা, বার্দিং সুবিধা নিশ্চিতকরণ ও নৌপথ ব্যবহারের জন্য ভয়েজ পারমিশনপ্রদান এবং ভয়েজ পারমিশনের সার্বিক মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকবে। আগামী ১৩ মার্চ গঙ্গাবিলাস একই পথে ফেরার কথা রয়েছে।