মহসিন পারভেজ , ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বড় বাকাইল উত্তরপাড়ার রমজান আলীর ছেলে রিয়াদ হাসান বাবু সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পরিহিত ছবি বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষ্ট করে,এলাকায় এসে স্থানীয় প্রশাসন এবং জনগনের কাছে নিজেকে সেনাবাহিনী বলে পরিচয় দেয়।
জানা যায় সে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশুনা করা রিয়াদ হাসান বাবু নিজেকে সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বলে পরিচয় দেয়। তার পিতা রমজান আলী (৪৮) পেশায় সিএনজি চালক, এবং একজন মাদক সেবনকারী বলে জানা যায়। তার মাতা হাসনা বেগম গৃহিনী, বড় ভাই হৃদয় (২৩) ঢাকায় একটি ব্যাগ কোম্পানিতে চাকরি করেন। তার ছোট ভাই রিফাত (১৪) পড়াশুনা করেন। সেনাবাহিনীর ইউনিফর্ম পড়া রিয়াদ হাসান বাবু বিভিন্ন সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ সদস্যদের কে ফোন করে বলেন আমি কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে বলছি বলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময় তদবির করেন। এমন তথ্য সাংবাদিকদের হাতে আসার পর, রিয়াদ হাসান বাবুর সাথে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বললেন আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে আমার ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন। তারপর ব্যাপক অনুসন্ধান চালিয়ে জানা যায়।পরিবার থেকে রিয়াদ কে নাপিতের কাজ শিখানো হয়। সে ২০১৯ সালে কুমিল্লা সেনাবাহিনী ৩৩ আর্টিলারি ব্রিগেডে অস্থায়ী বেসামরিক কর্মচারী বার্বার (নাপিত)হিসাবে কাজ করার সুযোগ পায় এবং ৪ বছর সেখানে কাজ করেন বলে জানা যায়। বার্বার রিয়াদ ওভার স্মার্ট হওয়ায় সহজেই নিজেকে সেনাবাহিনী বলে চালিয়ে দেয় বিভিন্ন জায়গাতে। কুমিল্লা ক্যান্টমেন্টের বার্বার থাকাকালীন সময়ে ছুটিতে এসে সঠিক সময়ে ইউনিটে ফেরত না আসার কারনে বিএম ৩৩ আর্টিঃ ব্রিগেড কর্তৃক গত ১৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে বার্বার রিয়াদকে বহিষ্কার করা হয় এবং বাড়ীতে ফেরত পাঠানো হয়। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছ থেকে জানা যায়,ভুয়া সেনাসদস্য এর বিষয়ে আইনি ব্যবস্হা নেয়ার কথা বলা হয়েছে।
এরকম প্রতারক, নিজেকে সেনাবাহিনীর সদস্য পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম নষ্ট হয় করছেন বলে মনে করেন তার গ্রামের সুশীল সমাজ।