মণিরামপুর প্রতিনিধিঃ
যশোরের মণিরামপুর উপজেলার চালুয়াহাটি ইউনিয়নের মোবারকপুর পালপাড়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজা মন্দির ও বাস্তভিটা জমির শতবর্ষী বৃদ্ধা মালিককে ভুলভাল বুঝিয়ে তার নিকট থেকে মুজাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি উদ্দেশ্যমূলক ভাবে অতিগোপনে কোবলা রেজিস্ট্রি করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় জমির মালিকের ছেলে গণেশ চন্দ্র পাল জমি ফেরত পেতে যশোর জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর মামলা রুজু করেছে এবং মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে। লিখিত অভিযোগে গণেশ চন্দ্র পাল উল্লেখ করেছেন- উপজেলার রামনাথপুর গ্রামের শাখাওয়াত হোসেনের ছেলে মুজাহিদুল ইসলামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে আমার বাড়ীর পাশে। সে কারণে আমার শতবর্ষী মায়ের সাথে জানা-শোনা ও পরিচয় হয়। তারপর মুজাহিদুল জানতে পারে আমার মায়ের নামে কিছু জায়গা জমি আছে। তাই তার কাছ থেকে কিভাবে মাঠের ১৯ শতক জমি বিগত ১৫/০২/২০২৩ ইং তারিখে রেজিষ্ট্রি করে নেয় এবং বর্তমানে আমার মন্দির ও ভিটাবাড়ীর ৬.৫০ শতক জমি গত ১৩/০৫/২০২৪ ইং তারিখে কোবলা রেজিস্ট্রি করে নেয়। যার নং- ৩৩৬৫। মোবারকপুর মৌজা, বর্তমান আরএস ৫০৪ খতিয়ানে ৯৪৬ দাগের জমি। অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন- উক্ত জমিতে আনুমানিক ১০০ বছর যাবৎ শ্রী শ্রী জগদ্ধাত্রী পূজা মন্দিরে পূজা পার্বন ও বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-আচারণ পালন করে আসছি এবং সেই জমিতে আমার বসবাস (বাস্তভিটা)। ওই জমি থেকে আমাকে উচ্ছেদের পরিকল্পা করে আসছে মুজাহিদ এবং বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দিচ্ছে। আমরা সংখ্যালঘু পরিবার তাই আমরা খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি। শুনছি যেকোনো সময় আমার বাড়ীতে ঢুকে আমাকে পৈত্রিক বাস্তভিটা থেকে উচ্ছেত করবে। আমি পরিবার নিয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় আছি। জন নিরাপত্তা যাতে বিঘ্নিত না হয় বা আমাকে যাতে আমার পূর্বের ন্যায় স্বাভাবিক ভাবে ধর্মীয় আচার-আচারণ পালন করতে পারি সে দাবী করছি। এব্যাপারে মুজাহিদুল ইসলামের বক্তব্য নেওয়ার জন্য, তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে, তাকে না পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্বভ হয়নি।
© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।