এম এ মান্নান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদেরকে প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে, মুক্তিযোদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কতৃক বীর নিবাস নির্মাণে, ১৪ লাখ ৭০ হাজারেরও ঊর্ধ্বে টাকা ব্যয়ের বরাদ্দের কাজটি পায়, মেসার্স জব্বার বিল্ডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এই মর্মে ঠিকাদার মন্জুরুল হককে কার্যাদেশ দেওয়া হয় গত বছরের ২০২১ সালের ২৮ ডিসেম্বর, চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এ-সব নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিলো। অথচ মিয়াদ শেষের দিকে গেলেও, ঘর নির্মাণ কাজ ৬ মাস যাবত বন্ধ রয়েছে। এবিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘর নির্মাণে, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী উপকরণ দিয়ে কাজ করার অভিযোগ উঠেছে। এবিষয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক অনিয়মের প্রতিবাদ করিলে, নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিলেন ঠিকাদারের প্রতিনিধি চুন্নুমিয়া।বীর মুক্তিযোদ্ধা নূরুল হক আরো বলেন,ঠিকাদারের অনিয়ম দুর্নীতি ও গাফিলতির কারনে আমি এর প্রায়শ্চিত্ত ভুগছি, পরিবার পরিজনদের নিয়ে খুলা আকাশের নিচে বসবাস করছি, এমত অবস্থায় কিছু দিন আগে গরু বিক্রি করে গোয়াল ঘর খালি করে,সেই গরু গোয়াল ঘরে বসবাস করছি। আমার এ ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাইতে সরকারের ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মোঃ নূরুল ইসলাম জানান, এবিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলি,কিন্তু কতৃপক্ষের কোন সুপরামর্শ পানি,আমি কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি। বীর মুক্তিযোদ্ধা আঃ রহিম বলেন, প্রধান মন্ত্রীর বিশেষ উপহার ঘর দ্রুত নির্মাণ কাজ শেষ করতে জোর দাবী জানাচ্ছেন, আরও জানা যায়, এক বছর আগে, একই টেন্ডারে মধ্যনগর উপজেলায় একই বরাদ্দের ৪ জন অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রীর নিবাস ঘর নির্মাণের কাজ, ঠিকাদারের মাধ্যমে হওয়ার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত কোন ঘর নির্মাণ হয়নি, এবিষয়ে ঠিকাদারকে মুঠো ফোনে না পেয়ে, তার প্রতিনিধি চুন্নুমিয়ার মুঠো ফোনে কথা বললে সে জানান, বিভিন্ন সমস্যার কারণে কাজ বন্ধ রয়েছে এখন ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলে কিছু দিনের মধ্যে কাজ শুরু করবো। ধর্মপাশা উপজেলা নির্বহী কর্মকর্তা মুনতাসীর হাসান খান বদলি জনিত কারণে উনার সাথে কথা বলা যায়নি, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী ওলিদুর রহমানের সাথে মুঠো ফোনে কথা বললে তিনি বলেন এবিষয়ে আমি কিছু জানিনা।