মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার বাজার সংলগ্ন দুটি সেতুর নির্মাণ কাজের অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এলজিইডি কতৃপক্ষের নজরদারির না থাকায়, তমা কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি অভিনব কায়দায়, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করার সুযোগ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে । নিম্নমানের বালু এবং মাটি মিশ্রিত পাথর ঢালাই কাজে ব্যাবহৃত হচ্ছে । হাওরের বুকে উব্দাখালী নদীর তীরে মধ্যনগর বাজারে একটি এবং দেড় কিলোমিটার ব্যবধানে, কায়েতকান্দা গুদারা ঘাটের শুমেশ্বরী নদীর বুকে একটি সেতু নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
অবহেলিত হাওর পাড়ের জনগোষ্ঠীর যাতায়াতের ভোগান্তি নিরসনের লক্ষ্যে এম পি ইঞ্জিনিয়ার মোয়াজ্জেম হোসেন রতন এর প্রচেষ্টায় দুটি সেতুর প্রকল্প সরকার অনুমোদন করেন, এবং নির্মান কাজ দ্রুত সম্পন্নকরণে এম পি রতন এর কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। নির্মান কাজ সম্পন্ন হলে ধর্মপাশা উপজেলা ভায়া ঢাকার সাথে যোগাযোগে যেমন ২ ঘন্টা সময় বাচাবে, তেমনি সাথে সাথে সড়কের সংস্করণ করলে সুনামগঞ্জ জেলার সাথেও যাতায়াতের উন্নয়ন হবে।
আর এমন দাবির প্রেক্ষিতে সুনামগঞ্জ-১ আসনের এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের প্রচেষ্টায় সেতু নির্মাণ প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ২০১৬ সালের ১০ জানুয়ারি ওই দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে দুটি সেতু নির্মাণের প্রকল্প অনুমোদিত হয়।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, পল্লী সড়কে গুরুত্বপূর্ণ সেতু নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্পের (সিআইবিআরআর) আওতায় ২০১৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর উব্দাখালী নদীর ওপর ৪৭ কোটি ৮২ লাখ ১৪ হাজার ৮০০ টাকা ব্যয়ে ৩২০ মিটার এবং সুমেশ্বরী (কায়েতকান্দার পিছগাঙ্গা) নদীর ওপর ৪১ কোটি ৭৫ লাখ ৯০ হাজার ২২১ টাকা ব্যয়ে ৩১০ মিটার দৈর্ঘের সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন, তমা কনস্ট্রাকশন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আগামী ২১ সালের ৮ জুন সেতু দুটির নির্মাণ কাজ শেষ করার কথা থাকলেও, ঠিকাদারের গাফিলতির কারনে ২৩ সালের মে মাসেও সেতুর কাজ শেষ করতে পারেনি । এ পর্যন্ত উব্দাখালী সেতুর ৭০ ভাগ ও কায়েতকান্দা সেতুর ৬০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রকল্প ইনচার্জ দায়িত্বে থাকা মাজহারুল ইসলাম রাসেল বলেন, পাথরের সাথে বালু মিশ্রিত হওয়ায় পাথরের কালার নষ্ট হয়েছে, আমরা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার কতৃক মনিটরিং এর মাধ্যমে কাজ করেতেছি। এবিষয়ে উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মোঃ শাহাবুদ্দিন তদারকির প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি তাদেরকে বলে দিয়েছি, পাথর ও বালু ঢালাই করার আগে, ওয়াশ করে কাজ করার জন্য, তবে বালু তেমনটা নিম্নমানের না,
সেতু দুটি নির্মাণে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে সদর চেয়ারম্যান সঞ্জীব রঞ্জন তালুকদার টিটু বলেন, এলাকার দির্ঘদিনের দাবী স্বপ্নের সেতু নির্মানে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী উপকরণ দিয়ে কাজ করার অভিযোগটি প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মানসম্মত কাজের জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছি। এবং দুটি সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে হবে ব্যাপক উন্নয়ন,সময়ের স্বল্পতার দিবে যোগান। হাওর অঞ্চলের মানুষের মধ্যনগর উপজেলাটি মাছ ও ধানের ভান্ডার হিসেবে সারাদেশে সু পরিচিত। হাওর জনপদের বানিজ্যিক এলাকা ভাটির রাজধানী মধ্যনগর, প্রাচীণ ঐতিহ্যেবাহী বাজারটি প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা'র' শ্রেষ্ঠ উপহার করে দিলো পূর্ণাঙ্গ উপজেলা, লেগেছে উন্নয়নের ছোঁয়া,হয়েছে উপজেলা বাস্তবায়ন। যেখানে আদি আমল থেকে চলছে ফেরি নৌকায় পারাপার, পথ যাত্রীর দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যোগ যোগ ধরে। সেখানে সেতু নির্মানের ফলে অনায়াসে কমছে জন দুর্ভোগ,সেই সাথে বাড়বে ব্যবাসায়ীর আমদানি রপ্তানি। মালামাল সহ পথযাত্রীর চলাচলে হয়েছে শত ভাগ উন্নয়ন। এদিকে কায়েতকান্দা পিছগাঙ নদীর সেতু ও মধ্যনগর বাজার সেতু, দুটি উদ্বোধন হলে, যোগাযোগের উন্নতির সুবিধা পাবেন প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ। ভারতের সিমান্ত বর্তী এলাকার বাঙলবিটা,বাগলি, টেকেরঘাট, বাদাঘাট, লাউড়েরগড়, কলাগাও,গোলগাও, মহিষখলা নতুন বাজার, চৌরাস্তা সহ তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার লোকজনের যোগাযোগের ব্যপক উন্নয়ন হবে। ফলে ওই দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সেতু নির্মাণের দির্ঘদিনের দাবি ছিলো এলাকাবাসীর।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।