মধ্যনগর(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের নিয়ামতপুর গ্রামের বিমল বর্মনের ছেলে সুকেশ বর্মন (৩৪) কে রামদা দিয়ে কোপ দিয়ে হাত কর্তন। একই গ্রামের রকেট সরকারের সঙ্গবদ্ধ দলের হামলায় সুকেশ বর্মনের ডান হাত কর্তন হয়ে গেছে । সে এখন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গত ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে হামলার ঘটনাটি ঘটে। জানা যায় উদ্ধাখালী নদী থেকে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে ঐদিন সকালে দুই পক্ষের তর্ক বির্তক হয়, এর কিছুক্ষন পরে রকেট সরকার তার সঙ্গীয় লোকজন নিয়ে, ধারালো অস্ত্রে সজ্জে সজ্জিত হয়ে বিমল বর্মনের উপর হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে, এবং তাকে কোপ দিয়ে তার হাত কেটে ফেলে ।
পরে জখমী সুকেশ বর্মনের ভাই মানিক বর্মন বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করেছে। মধ্যনগর থানার পেনাল কোড মামলার ১৮৬০/ যার নং ১ ধারা ১৪৩/৩২৩/৩২৬/৩০৭/১১৪/৫০৬/ এর প্রেক্ষিতে গত ৪ নবেম্বর শনিবার এসআই রফিজুল মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স সহ এজাহার নামীয় আসামী রকেট সরকার(৩৭)কে গ্রেফতার করিয়া বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি রকেট সরকার আদালতে হাজিরের আগেই অগ্রীম জামিনে বেরিয়ে আসে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় গুরুতর আহত ব্যাক্তি মধ্যনগরে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজে রেফার্ড করা হয়েছে।
আহত ব্যাক্তি উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের নিয়ামতপুর গ্রামের বিমল বর্মনের ছেলে সুকেশ বর্মন।
এবিষয়ে রাতে ৬ জনকে আসামী করে মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের ভাই মানিক বর্মন। অভিযোগ সূত্রে জানাযায় বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ীর তীরবর্তী উব্ধাখালী নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোনকে কেন্দ্র করে ঐ গ্রামের কন্টু বিশ্বাসের ছেলে আকাশ বিশ্বাস ও সুকেশ বিশ্বাসের মধ্যে বাকবিতন্ডতা হয়। এর জেরে দুপুরে ধারালো অস্ত্র সহ হামলা চালায় সুকেশের উপর এবং একপর্যায় সুকেশকে রামদা দিয়ে কোপ দেয় আকাশ বিশ্বাস। সেই কোপ সুকেশ বর্মনের ডান হাতে পরলে হাত কেটে রক্তাক্ত জখম হয়ে গুরুতর আহত হয় সুকেশ। বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছে।
গ্রামের বিশিষ্ট ব্যাক্তি ও মধ্যনহর উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক উপানন্দ সরকার বলেন বাড়ীর পাশ্ববর্তী উদ্ধাখালী নদীথেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করেই এমন মর্মান্তিক ঘটনার সূত্রপাৎ।দোষীদের আইনের আওতায় আনা হউক।
এবিষয়ে মধ্যনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এম এমরান হোসেন বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে, অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। প্রকৃত অপরাধীরা অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে।
এম এ মান্নান,
মধ্যনগর,সুনামগঞ্জ
০১৭৭১৯২১৬৫২