এম এ মান্নান বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে বলরামপুর ও টেপিরকোণা মধ্যবর্তী উত্তর দৌলতপুর মৌজায় খাস খতিয়ান এর ৯০ দাগে গড়ে উঠেছে রসুলপুর। এলাকার হত দরিদ্র ভূমিহীনদের বাসস্থানের লক্ষ্যে, বিশিষ্ট মাতব্বর ও তৎক্ষালীন সময়ের চামরদানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, খসরুজ্জামান বাবলুর নেতৃত্বে প্রায় ৩০ বছর পূর্বে বলরামপুর ও টেপিরকোণার অসহায় ভুমিহীন শতাধিক পরিবার নিয়ে গড়ে ওঠে রসুলপুর গ্রাম।
জানা যায় তখনকার সময়ে ওই জায়গাটি বলরামপুর ও টেপিরকোণা গ্রামের কয়েকজন ব্যাক্তির নামে বন্দোবস্ত দিয়েছে সরকার । কিন্তু তাদের সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও ভূমিহীন পরিচয়ে বন্দোবস্ত পাওয়ায়, ঐ জায়গা নিয়ে ঝামেলা সৃষ্টি হয়। তখন এলাকার চেয়ারম্যান এবং মাতব্বরদের সমন্বয়ে প্রকৃত ভুমিহীনদের মাথা গোজার জায়গা করে দিতে, বন্দোবস্ত প্রাপ্ত মালিকদের নিয়ে সমন্বয় করে তাদের বসতঘর এর জন্য জায়গা রেখে, অন্যান্যদের মধ্যে ১১ হাত প্রস্থে জায়গা বন্ঠন করে দেওয়া হয়। প্রায় ৩০ বছর যাবৎ তারা শান্তিতেই বসবাস করে আসছিল, বর্তমানে কিছু দিন ধরে একটি পক্ষ জায়গা দখলের পায়তারা চালিয়ে, দাঙ্গা হাঙ্গামার পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এবং যেকোনো সময় দুই পক্ষের মাঝে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশংকা দেখা দিয়েছে।
এবিষয়ে রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা মজিবুর রহমান বলেন -৫ দিন আগে আমাদের বাড়ির সামনে হঠাৎ একটি বেকু দেখতে পাই, আমরা সেখানে গিয়ে দেখি বাবলু চেয়ারম্যান এর ছোট ভাই মিলন দাঁড়িয়ে থেকে আমাদের দখলকৃত জায়গায় মাঠি খাটাচ্ছে, আমরা কারণ জানতে চাইলে সে বলে আমরা প্রপোজালের মালিক এর কাছ থেকে জায় কিনেছি। আমরা জায়গা কিনার বিরুদ্ধে জোড়ালো প্রতিবাদ করলে, সে এখান থেকে বেকু নিয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়।পরবর্তীতে মিলন এবং রুকন এর নেতৃত্বে প্রপোজালের মালিকদের দিয়ে আমাদের উচ্ছেদের জন্য বিভিন্ন পায়তারা শুরু করে। আজ রবিবার ভোরে তাদের কিছু নিকটস্থ লোক নিয়ে আমাদের বাড়ির সামনে দাড়ালো আস্ত্রশ্র নিয়ে মাটি ভরাট করতে আসে, আমরাও মাটি ভরাট না করার প্রতিবাদ করায়, মিলন ও রোকন গংরা উত্তেজিত হয়ে আমাদের উপর হামলার প্রস্তুতি নিলে এলাকার গণ্যমান্য লোকজনের ভুমিকায় উত্তেজনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এবং কোন সংঘর্ষ হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধা পরিবারের সন্তান রোকসানা বেগম বলেন- এ গ্রামের নিরিহ দরিদ্র ভূমিহীন মানুষের অশান্তির, সব কিছু রোকন এবং মিলনের ইশারাতে হচ্ছে। অতি দ্রুত এই সমস্যার সমাধান না হলে বড় ধরনের সংঘাত হতে পারে।
এ সকল অভিযোগের প্রেক্ষিতে সাবেক চেয়ারম্যান খসরুজ্জামান বাবলু'র ছোট ভাই আসাদুজ্জামান রোকনের কাছে জানতে চাইলে, তিনি জানান রসুলপুর গ্রামটি আমার বড় সাবেক চেয়ারম্যান খসরুজ্জামান বাবলু ভাইয়ের নেতৃত্বে গড়ে ওঠেছে, এই গ্রামের মানুষকে উচ্ছেদ করার পায়তারা আমরা কেন করবো, বরং আমরা একদম অসহায় প্রকৃত প্রপোজালপ্রাপ্ত মালিকদেরকে ছাড় দিয়ে তাদের জায়গায় যাওয়ার জন্য বলেছি।আর আমাদের ওই খানে জায়গা দখলের যে প্রশ্নটি এসেছে সেটি সম্পুর্ণ মিথ্যা। তবে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ আইনের আশ্রয় নেয়নি।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।