সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার গলহা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি গঠনে অনিয়মের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত ১৭ অক্টোবর ওই বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি মো. আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে এ বিষয়ে ধর্মপাশা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার পরদিন বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১নং বিবাদী ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রফিকুল হক, ২নং বিবাদী প্রভাত দেবনাথকে নোটিশ প্রাপ্তির ৭ (সাত) কর্ম দিবসের মধ্যে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেন।
আর এই কমিটিকে অনুমোদন না দেওয়ার জন্য সিলেট মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।
এবিষয়ে মামলার বাদী বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল মান্নান জানান, ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষক অনৈতিক ভাবে প্রভাত দেবনাথকে দাতা সদস্য বানান। এর আগে গত বছরের ১৪ জুলাই ততকালীন ম্যানেটিং কমিটির সভায় অভিযুক্ত প্রভাত দেবনাথের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে দাতা সদস্য প্রার্থীতা থেকে বাতিল করা হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক রফিকুল হক ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে দাতা সদস্যপদে তাকে বহাল রাখেন। যা বিধিবর্হিভুত। পরে ১৫ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক তার ব্যাক্তিগত স্বার্থ হাসিল করার জন্য প্রভাত দেবনাথকে দাতা সদস্য বানিয়ে অনৈতিকভাবে কমিটি সম্পন্ন করে। তাছাড়া গত বছর আমি দাতা সদস্যের জন্য ২০ হাজার টাকা জমা দিয়ে দাতা সদস্য হই। কিন্তু গোপনে আমাকে না জানিয়ে প্রধান শিক্ষক রফিকুল হক বেআইনিভাবে দাতা সদস্য পদ থেকে আমাকে বাদ দেন। পরে নিয়মবর্হিভুতভাবে তার মনোনীত দুর্নিতীবাজ প্রভাত দেবনাথকে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বানান।
পরে এবিষয়ে আমি জানতে পরে গত ১৭ অক্টোবর প্রধান শিক্ষক রফিকুল হক ও প্রভাত দেবনাথের নাম উল্লেখ করে ধর্মপাশা সহকারী জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের করি।
এবিষয়ে জানতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার চেষ্ঠা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।