এম এ মান্নান,বিশেষ প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার উত্তর বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের বান্দ্রা গ্রামের এক ১৫ বছর বসয়ী প্রতিবন্ধি আদিবাসী কিশোরীকে দর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। মধ্যনগর থানা পুলিশ একজনকে গ্রেফতার করেছে। জানা যায় গত বুধবার সন্ধ্যায় ভিক্টিম আদিবাসী প্রতিবন্ধি কিশোরী গৃহ পালিত হাঁস বাড়িতে না আসায়, হাঁস খুজতে বাড়ির পিছনে গেলে,একই গ্রামের রাশিদ মিয়ার ছেলে ২ দুই সন্তানের বাবা মোঃ রফিক মিয়া (৩৩) ও সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মোঃ শাহাদাত মিয়া (২১) পাশের জমিতে কাজ করছিল। আদিবাসী কিশোরীকে দেখতে পেয়ে দুই দুষ্ট ঘাতক মিলে আদিবাসী কিশোরীকে একা পেয়ে মুখ চেপে ধরে, কিশোরীকে প্রায় ৫০০ গজ দূরে ধান ক্ষেতে নিয়ে মুখ বেধে দর্ষনের চেষ্টা চালায় এবং ভিক্টিমের মুখের বাধ খুলে যাওয়ায় কিশোরী চিৎকার শুরু করলে, প্রতিবন্ধি কিশোরীর বড় ভাই ও আশপাশের লোকজন ঘটনা স্থলে গিয়ে ভিক্টিমকে উদ্ধার করে। এবং দুই দর্ষক শাহাদাত ও রফিক দৌড়ে পালিয়ে যায়, এর পর স্হানীয় ইউপি সদস্য মোঃ হেলাল উদ্দিন ও সাবেক মেম্বার মোঃ শিরো মিয়া সহ এলাকার মাতব্বরগন বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেও এর কোন মিমাংসা না হওয়ায়, শুক্রবারে ভিক্টমের মা বাদী হয়ে মধ্যনগর থানায় মামলা দায়ের করলে,মধ্যনগর থানা পুলিশ এসআই সামীম আহমেদ অভিযান চালিয়ে আসামি রফিক মিয়াকে শনিবার দুপুরে গ্রেফতার করেছেন, পরদিন রবিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এসআই সামীম আহমেদ জানান, ২ নং আসামি শাহাদাত মিয়া পলাতক রয়েছে, তবে শাহাদাত কে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যহত আছে অতি দ্রুত তাকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।