খন্দকার মোঃ জসীম উদ্দীন, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বৃদ্ধাশ্রম পাশ্চাত্য সভ্যতার নোংরামির এক জলজ্যান্ত উদাহরণ। কোনো সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের বৃদ্ধাশ্রমের পক্ষে সামান্য যুক্তি উপস্থাপনের নৈতিকতা নেই। বৃদ্ধাশ্রম বন্ধ হোক। আশা করি, ব্যক্তি উদ্যোগে বৃদ্ধাশ্রমে থাকা বৃদ্ধ নর-নারীদের আস্তে আস্তে পরিবার-পরিজনের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে। বৃদ্ধাশ্রমে কোনো মা-বাবা থাকবেন না। বৃদ্ধাশ্রমকে না বলি। যদি একান্তই বৃদ্ধাশ্রম থাকার প্রয়োজন হয়, তাহলে রাষ্ট্রকে দায়িত্ব নিতে হবে। কোনো ব্যক্তিকে এ ধরনের দায়িত্ব দেওয়া রাষ্ট্র তথা সমাজের জন্য কতটুকু সম্মানের, তা রাষ্ট্রযন্ত্রকে বিবেচনায় নিতে হবে। রাষ্ট্র লাখো কোটি টাকার বাজেট করে, অবশ্যই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে এসব বৃদ্ধকে তাঁদের পরিবার-পরিজনকে ভরণপোষণে বাধ্য করতে হবে। ব্যক্তি উদ্যোগকে একেবারেই নিরুৎসাহিত করতে হবে। আর যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে রাষ্ট্রকে অবশ্যই দায়িত্ব নিতে হবে। ব্যক্তি উদ্যোগে বৃদ্ধাশ্রম মানুষ, মানবতা ও মনুষ্যত্বের জন্য কলঙ্ক। এ ব্যাপারে ব্যক্তি তথা রাষ্ট্রকে সতর্ক থাকতে হবে। কোনোভাবেই প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। এভাবে চলতে থাকলে ধর্মীয় অনুভূতি, মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেম ধ্বংস হয়ে যাবে। আমাদের এই উপমহাদেশে পারিবারিক বন্ধন অটুট রাখার ইতিহাস দীর্ঘদিনের। বৃদ্ধাশ্রম কালসার তৈরি হলে, তা ধ্বংস হয়ে যাবে এবং এই উপমহাদেশে পাশ্চাত্য সংস্কৃতি প্রবেশ করে পারিবারিক বন্ধন ধ্বংস করে দেবে। বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম দেশ। এখানে ধর্ম একেবারেই বৃদ্ধাশ্রমকে স্বীকৃতি দেয় না। উলামা-মাশায়েকসহ ধর্মপ্রাণ মুসলমান এবং জনগণকে এ ব্যাপারে শতভাগ সচেতন হতে হবে। সরকারকেও এ ব্যাপারে সুদৃষ্টি দিতে হবে। আর একটা সেকেন্ড সময় দেওয়া যাবে না। যদি এ ব্যাপারে রাষ্ট্র তথা দেশের জনগণ সচেতন না হয়, তাহলে ভয়াবহ মহামারি আকার ধারণ করবে। একটা গোষ্ঠী বৃদ্ধাশ্রমের নামে ব্যবসা শুরু করবে। এখনো যে করছে না, তার গ্যারান্টি কে দেবে?