মোঃ সবুজ খান, মির্জাপুর (টাঙ্গাইল)
নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশিষ্ট মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র অভিনয় অঙ্গনের যুবরাজ,একুশে পদকপ্রাপ্ত (মরণোত্তর) অভিনেতা “খালেদ খান” স্মরণে আয়োজিত “খালেদ খান স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০২৩” এর গ্র্যান্ড ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) বিকাল ৩ টায় মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের আলোচিত মসদই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এই ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।এই মাঠ দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ডের মাঠ বলেও অনেকের কাছেই পরিচিত।খেলায় হাজার হাজার দর্শকের উপস্থিতিতে মাঠ ছিল কানায় কানায় পরিপূর্ণ,যা ফুটবলের সৌন্দর্য্য অধিকতর বৃদ্ধি করেছে।
উক্ত খেলায় ৮ দল অংশগ্রহণ করলেও ফাইনালে খেলেন চৌহাট একাদশ বনাম শৈলজানা কুড়ালিয়াপাড়া নবলতা সংঘ।সম্পূর্ণ খেলাটি ছিল উত্তেজনায় ভরপুর।খেলায় শৈলজানা কুড়ালিয়াপাড়া নবলতা সংঘ ১-০ গোলে জয়লাভ করেছে।
শুধু খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না ঐতিহ্যবাহী সেই মসদই খেলার মাঠ।অন্যান্য আয়োজনের মধ্যেও ছিল অতিথিদের আসন গ্রহণ,পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত,মরহুম খালেদ খানের উপর নির্মিত প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন,আমন্ত্রিত অতিথিদের বক্তব্য ও সম্মাননা প্রদান,জমকালো খেলার উদ্বোধন,মনোজ্ঞ ডিসপ্লে,জাতীয় সংগীত পরিবেশন সহ মন কারানোর মত দৃশ্য।যা সকলের ভালো লাগার মত আয়োজন।এমন আয়োজন এই মাঠে আরো একাধিকবার হয়েছে বলেও জানা যায়।সরেজমিনে উপস্থিত থেকে দর্শকদের উপস্থিতি দেখে মনে হয়েছে, তারা সবসময় মুখিয়ে থাকে এই মাঠে আবার কবে খেলা হবে।এমন জমকালো খেলার আয়োজন করেছেন মসদই গ্রামবাসী।এমন খেলা আসলেই যেন অনেকের কাছেই ঈদের আনন্দের মত লাগে এমনটাও জানান অনেকেই।
সাবেক কৃতি ফুটবলার সবুর লস্কর (ছেবু)র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাকিলা বিনতে মতিন।এছাড়াও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগীত শিল্পী ফারহিন খান জয়িতা,প্রধান পৃষ্ঠপোষক বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম কবির,খালেদ খানের পরিবারবর্গ সহ প্রমূখ।
খেলার সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করার জন্য সেলিব্রিটি অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন
উল্লেখ্য,বিশিষ্ট কৃতি এই অভিনেতা ১৯৫৮ সালের ৯ ফেব্রুয়ারী মির্জাপুর উপজেলার উয়ার্শী ইউনিয়নের মসদই গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে যান।মৃত্যু সময় তিনি রেখে গেছেন তার পরিবার সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী।