মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে মিথ্যা অভিযোগ ও অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও ঝাড়– মিছিল করেছে এলাকাবাসী। শুক্রবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার কুকুটিয়া ইউনিয়নের বিবন্দী গ্রামে শত শত নারী-পুরুষ ঘন্টাব্যাপী এই মানবন্ধন করে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কুকুটিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে তার সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে মা জবেদা বেগম ও ছেলে জাবেদসহ ৪ জনকে মারধর ও কুপিয়ে জখম করে।
এ ঘটনায় শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। জবেদা বেগমের লোকজন পোষ্টার ছাপিয়ে তা লাগানোর জন্য ২ শ্রমীক সাইফুল ইসলাম বাবু ও নাহিদকে দায়িত্ব দেয়। গেল মঙ্গলবার রাত ৮ টার দিকে তারা পোষ্টার লাগাতে যাওয়ার পথে টুনিয়া মান্দ্রা ব্রীজ থেকে তাদেরকে আওয়ামীলীগ ক্লাবের কথা বলে ধরে নিয়ে যায় ড্রেজার সিরাজ, মেহেদী হাসান রিয়াজ, সাজু, ফিরোজসহ কয়েকজন। এরপর দুজনকে ৪ ঘন্টা আটকে রেখে মারধর করে ২২ পিছ ইয়াবা দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরে বিষয়টি সাজানো বলে পুলিশ তাদের ছেড়ে দেয়, রাতে আবার অজ্ঞাত কারণে তাদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগের সভাপতির লোকজন তাদের নির্দেশে এসব কাজ করে অনেকের সাথে শত্রুতা করে অত্যাচার করে এলাকাবসীকে অতিষ্ট করে তুলছে। তাই এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে।
এ বিষয়ে শ্রীনগর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, আমরা তাদের ছেড়ে দেই নাই। থানায় মিমাংসার লক্ষে উভয় পক্ষের মুচলেকা নিয়েছিলাম। কারণ এই দুই শ্রমীক হয়রানি হোক এটা চাই নাই। কেউ ছবি তুলে দিয়ে বললেইতো দোষী হয়ে যায় না। যাচাই বাছাই করে মামলা দেওয়ার মত হলে, আমরা মামলা দিতাম। কিন্তু এখন মামলা দিয়ে যাচাইবাছাই করতে হচ্ছে। আমরা কোন নিরিহ মানুষ হয়রানীর হোক এটা চাই না। কতিপয় কিছু সাংবাদিকের কারণে তাদের মামলা দিয়ে আদালতে পাঠাতে হয়েছে।
এ ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল হোসেন বাবু জানান, আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপ, ইউনিয়ন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দ্বন্দ্ব। এসব ঘটনায় আমি কোন প্রকার জরিত না। মারামারি হানানহানিতে আমার কোন লোক জন নাই, আমি একাই চলি। যদি আপনাদের তদন্তে আমি কোন প্রকার দোষী হই তাহলে আপনারা আমার বিরুদ্ধে লিখেন।
ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি রেজাউল করিম রেজা জানান, আমি বা আমার কোন লোকজন এসব ঘটনায় জরিত না। তারা মানববন্ধনে আমার বিরুদ্ধে যা বলেছে সব মিথ্যা।