মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার এভিজেএম স্কুলের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জেসি মাহমুদ মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত বিজয় রহমানের কথিত গার্লফ্রেন্ড আদিবা আক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
প্রেমের বিরোধ নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে স্কুলছাত্রী জেসি খুন হয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ ৩ ডিসেন্বর (বুধবার) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় নিহতের বড় ভাই শাহরিয়ার জিদান বাদী হয়ে দুইজনকে আসামি ও অজ্ঞাতনামা আরও ১-২ জন উল্লেখ করে এভিজেএম স্কুল শিক্ষার্থী জেসির মৃত্যুর ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলায় মুন্সীগঞ্জ শহর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য আরিফুর রহমানের ছেলে বিজয় রহমান (২২) ও পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য জাহিদ হাসানের মেয়ে আদিবা আক্তার (১৯)
কে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ আদিবাকে আজদুপুরে গ্রেপ্তার করেছে।
জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) সুমন দেব জানান, আদিবা ও জেসি উভয়ের সাথেই প্রেমের সম্পর্ক’ছিলো অভিযুক্ত বিজয়ের। সম্প্রতি বিজয় আদিবাকে বিয়ের পরিকল্পনা করছিলো বলে জানতে পারে জেসি। এরপর জেসি রাগান্বিত হয়ে উঠে। বিজয়ের অপর প্রেমিকা আদিবাকে জেসি ও বিজয়ের মধ্যকার বেশকিছু একান্ত আলাপচারিতার ম্যাসেঞ্জার কথোপকথনের স্কিনশট পাঠায়।
সেটি দেখে আদিবা বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
পরে গতকাল তারা সিদ্ধান্ত নেয় বিজয়ের বাসায় এ নিয়ে ফয়সালা করার। পরে তারা ৩ জন গতকাল সন্ধ্যায় একসাথে বিজয়ের বাসার ৫ম তলার ছাদে সন্ধ্যার দিকে মিলিত হয়। সেখানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে
আদিবা ও বিজয় উভয়ই জেসিকে শরীরের বিভিন্ন অংশে কিল-ঘুষি মেরে জখম করে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে বিজয় জেসির গলা চেপে ধরলে ঘটনাস্থলেই মেয়েটি অচেতন হয়ে
পড়ে৷ পরে বিজয় স্থানীয় আরও কয়েকজনের সহায়তায় জেসিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এবং পরিকল্পিতভাবে ডাক্তারকে জানায় সে ছাদ থেকে পড়ে গেছে। এরমধ্যেই জেসি মারা যায়।
প্রসঙ্গত,গতকাল ২রা ডিসেন্বর ( মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ৮টার দিকে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে মুন্সীগঞ্জ পৌরসভার মধ্য কোর্টগাও এলাকার সৌদি আরব প্রবাসী সেলিম মাহমুদের মেয়ে আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন গভ. গার্লস হাই স্কুলের এসএসসি বর্ষের শিক্ষার্থী জেসি মাহমুদ (১৭) কে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে স্বজনরা।