মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলায় মিরকাদিমের কালিন্দীপাড়া গ্রামে পূর্ব বিরোধের জের ধরে শাকিল আহাম্মেদ (অপু) ও আবির হোসেন নামের দুইজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শাকিল আহাম্মেদ অপু নৈদিঘীরপাথর এলাকার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে ও আবির হোসেন পূর্বপাড়া এলাকার মোঃ নাসির উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। আবিরের অবস্থার অবনতি হওয়ায় মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল থেকে ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
আহত শাকিল আহাম্মেদ অপু জানায়, ‘আমরা গোপনগর থেকে চা খাওয়ার জন্য বিনোদপুর ক্যান্টিনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হই। মিরকাদিম পৌরসভার সাবেক মেয়র শহিদুল ইসলাম শাহিনের বাড়ির সামনে পৌছামাত্র তার বাড়ির ভিতর থেকে ওঁত পেতে থাকা অস্ত্র সসন্ত্র নিয়ে ১০/১২ জনের একদল লোক চিৎকার দিয়ে বললো ওদের ধর’।
ধর বলার পর আমরা যে যার মতো দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করি। পরে সম্পদ (২৬) নামের একজন হাতে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেয়। আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়ার পর হাতে ছুড়ি নিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে যখম করে। আমার সাথে থাকা আবির হোসেনকেও কুপিয়ে গুরুতর যখম করে। আমাদের আত্মচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে হামলাকারিরা পালিয়ে যায়। সম্পদ (২৬) এর নেতৃত্বে রমজান মাদবর, সাগর ও তুষার সহ ১০/১২ জন আমাদের ওপর হামলা চালায়।
ঘটনার আরেক প্রত্যক্ষদর্শী হামলায় আহত আবির বলেন, হামলাকারীরা মোট ১০/১২ জন ছিল। তাদের হাতে কয়েকটি চাইনিজ কুড়াল এবং চাপাতি ছিল। পরিকল্পিত হামলায় নৃশংসভাবে কুপিয়ে হামলা করে।
এ বিষয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনদের ফোনে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জানান, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আবিরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়া হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়।
মুন্সীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ তারিকুজ্জামান জানান, খবর পেয়ে হাসপাতালে সরেজমিনে হামলায় আহত ও স্থানীয় সূত্র থেকে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এ ঘটনা এখনো পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।