মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
প্রথম আলো শুধু ছাপা একটি কাগজ নয়। তারা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এসিড সন্ত্রাস,বাল্য বিয়ে, জঙ্গিবাদ, মাদকবিরোধী সচেতনতা,শিক্ষা ও অসম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে কাজ করে যাচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে তুরুণদের মধ্যে তুলে ধরেছে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে সমাজের নানা অসঙ্গতি দূর করতে কাজ করছে।পাশাপাশি মানুষকে উৎসাহিত করতে সামাজিক ভালো কাজগুলোকে তারা তুলে ধরছে।
বাংলাদেশ যতদিন আছে প্রথম আলো এভাবে সত্য তথ্যের মধ্য দিয়ে পাঠকের মনে বেঁচে থাকুক। দেশের জন্য কাজ করুক।
শনিবার বেলা ১২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে প্রথম আলোর ২৪ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব একথা বলেন মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুমন দেব।
মুন্সীগঞ্জ বন্ধুসভার উপদেষ্টা নুরুন্নবী মুন্নার সঞ্চালনায় শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি ফয়সাল হোসেন। এসময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মুন্সীগঞ্জ প্রেক্লাবের সভাপতি শহিদ-ই হাসান,সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি এড সুজন হায়দার,নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে স্পেশাল পিপি মো. লাভলু মোল্লা, মুন্সীগঞ্জ জেলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম-সম্পাদক আয়নাল হক,নাট্যকার ও নির্দেশক জাহাঙ্গীর ঢালী,মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুন-উর-রশিদ, মুন্সীগঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি বিকাশ কুমার রয়,বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং সাংস্কৃতিক কর্মীরা।
মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি শহীদ-ই-হাসান বলেন,প্রথম আলো দাপটের সঙ্গে সত্য তথ্যের ভিত্তিতে সংবাদ পরিবেশন করে যাচ্ছে। মানুষের দুর্ভোগের কথা তুলে ধরছে।মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অনুসন্ধানের মাধ্যমে সমাজের নানা ইতি বাচক- নিতিবাচক ঘটনা তুলে আনছে। এজন্য তারা পাঠকের ভালোবাসায় শুরু থেকে প্রথম অবস্থানে রয়েছে। প্রথম আলোর পরে অনেক প্রিন্ট মিডিয়া এসেছে। তারা প্রথম আলোকে অনুকরণ করে ভালো করার চেষ্টা করছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সকাল সোয়া ১০ টার দিকে বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগীতা হয়। প্রতিযোগীতায় প্রাকৃতিক পরিবেশ ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে ছবি আঁকেন তারা। প্রতিযোগীতায় বিজয়ী ৬ জন শিক্ষার্থীকে উপহার হিসেবে বই প্রদান করা হয়।
চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান,প্রথম আলো যেভাবে দায়িত্ব নিয়ে সামাজিক কাজগুলো করছে।
দেশের অন্যান্য সংবাদ মিডিয়াগুলো যদি এমনটা করে বাংলাদেশ আরো দ্রুত এগিয়ে যাবে।
তাদের দাবি, প্রথম আলো তাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে যদি এমন চিত্রাঙ্কণসহ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করে, তাহলে বাচ্চারা
আরো বেশি সংস্কৃতিমনা হয়ে উঠবে।