মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরব প্রবাসী আব্দুল মোমেনকে নিয়ে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ওই প্রবাসীর ভাগিনা ও ভগ্নিপতি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন প্রবাসীসহ আরো ছয়জন।
আজ রবিবার ( ৫ মার্চ) ভোর ৪টার দিকে মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বক্তারকান্দি এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে একটি কাভার্ডভ্যান ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মাইক্রোবাসে থাকা ভগ্নিপতি দুলাল মিয়া (৪৭) ও ভাগিনা মো. হোসাইন (১০) নামের এক শিশু নিহত হয়।
নিহত দুলাল কুমিল্লার তিতাস থানার উত্তর বলরামপুর গ্রামের মৃত খালেক মিয়ার ছেলে ও শিশু হোসাইন একই গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে।
আহতরা হলেন, প্রবাসী আব্দুল মোমেন (৩০) তার স্বজন আক্তার হোসেন (৩৫) ,মােঃ আরফিন (১০) মাইক্রোবাস চালক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন (৫০), এবং শান্তি পরিবহনের বাস চালক মো.জহিরুল ইসলাম(৩৫) ও এক যাত্রী অজ্ঞাত (৪০)। তাঁদের গুরুতর অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে (ঢামেক) পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রবাসী আব্দুল মোমেনকে নিয়ে একটি মাইক্রোবাস বিমানবন্দর থেকে কুমিল্লার বাড়ির দিকে যাচ্ছিল। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে চারটার দিকে তাঁদের গাড়িটি গজারিয়ার বক্তারকান্দি এলাকায় আসে। সে সময় কুমিল্লামুখী একটি কাভার্ডভ্যান গাড়িটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে গাড়িটি ছিটকে গিয়ে ঢাকামুখী সড়কে চলে যায়। এদিকে খাগড়াছড়ি থেকে ঢাকামুখী শান্তি পরিবহনের একটি বাসের এসে পুনরায় ধাক্কা দিলে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
পরে গজারিয়া ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকিদের গুরুতর অবস্থা ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।
গজারিয়া হাইওয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) মো. রিয়াদ হোসেন বিকাল ৫টার দিকে বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত দুজনকে তাদের পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। মাইক্রোবাস ও বাস পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এছাড়া ঘাতক কাভার্ডভ্যানকে আটক করা হয়। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ঢামেক হাসপাতালে শান্তি পরিবহনের চালক মো.জহিরুল ইসলাম (৩৫) মারা গেছে বলে শুনতে পাই। তবে এখনো আমরা নিশ্চিত নই।