মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ
আপন বোন ও ভাগ্নির অত্যাচারে বাড়ি ছেড়ে বিভিন্ন বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন মৃত আক্তার হোসেনের স্ত্রী ও এক প্রতিবন্ধী শিশুসহ ৩ সন্তান সিয়াম ঢালী (১৭) আলিফ (১৪), প্রতিবন্ধী আরাপ (৬)।
অভিযোগ রয়েছে আপন বোন এবং ভাগ্নি কৌশলে বসতবাড়ি নিজ নামে লিখে নেওয়ায় বাড়ি হারিয়েছে আক্তার হোসেনর তিন সন্তান ও স্ত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়নের ভট্টাচার্যের বাগে। সেখানে আপন ভাই আক্তার হোসেন ঢালির অসুস্থতার সুযোগে বসতবাড়ি লিখে নিয়েছেন আপন বোন ও ভাগ্নি এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পুরো গ্রাম জুড়ে নিন্দার জ্বর হইছে। এই ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় পৃথকভাবে দুটি অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্তার হোসেন এর স্ত্রী রেহেনা বেগম।
স্থানীয়রা জানান, ভট্টাচার্যের বাগ গ্রামের আক্তার হোসেন ঢালী দীর্ঘদিন যাবত ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ সহ বিভিন্ন রোগাক্রান্ত হয়ে চিকিৎসারত ছিলেন। তবে টাকার অভাবে তার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নিজ বসত বাড়িটি বিক্রি করে চিকিৎসা করার উদ্যোগ নেন। এ সময় আপন বোন পলি আক্তার ও বড় বোনের মেয়ের স্বর্ণা বেগম কৌশলে আক্তার হোসেনকে চিকিৎসা করাবে বলে ঢাকা বার্ডেম হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সেখানে চিকিৎসা করানোর কথা বলে বসতবাড়িটি কৌশলে
নিজের নামে লিখে নেন পলি আক্তার। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার বারডেম হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত আক্তার হোসেন ঢালী। এতেই খ্যান্তহননি পলি আক্তার ও স্বর্ণ বেগম মৃত্যুর পরে মরদেহ গোপনে রেখে তার বসতবাড়ি থেকে বিভিন্ন ভয় দেখিয়ে স্ত্রী ও তিন সন্তানকে বের করে বাড়িতে তালা ঝুলিয়ে দেন।
এতে করে বাড়ি ছাড়া অবস্থায় দিন যাপন করছেন আক্তার হোসেনের স্ত্রী রেহেনা বেগম ও এক প্রতিবন্ধী শিশুসহ ৩ সন্তান। শুধু বসত বাড়িটিই নয় জোর করে বাড়ির ভিতরের আসবাবপত্র লুটেনেয় অভিযুক্তরা। । এসব ঘটনায় মুন্সিগঞ্জ সদর থানায় পৃথকভাবে দুটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃত আক্তার হোসেনের স্ত্রী রেহেনা বেগম।
রেহেনা বেগম বলেন,আমার স্বামী সৌদি প্রবাসী ছিলেন। অসুস্থতার কারণে দেশে চলে আসেন পরে বিভিন্ন হাসপাতালে ডাক্তার দেখিয়ে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগ সহ বিভিন্ন রোগ ধরা পড়ে। পরে তার চিকিৎসা করাতে গিয়ে আর্থিক সঙ্কটে পরতে হয়। এমন অবস্থায় আমার ননদ পলি আক্তার ও বড় বোনের মেয়ে ভাগ্নি স্বর্ণা বেগম কৌশলে আমার স্বামী আক্তার হোসেনকে চিকিৎসা করানোর কথা বলে ঢাকার বার্ডেম হাসপাতালে ভর্তি করেন সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে ভুল বুঝিয়ে ও কৌশলে আমার স্বামী থেকে বসত বাড়িটি নিজের নামে লিখে নেয় পলি আক্তার ও স্বর্ণা বেগম। শুধু বাড়ির লিখেই ক্ষান্ত হননি তারা স্বামীর মরদেহ গোপনে রেখে আমাদের বাড়ি থেকে বের করে দিয়ে বাড়িতে তালা মেরে দেন। পরে আমরা জানতে চাইলে বাড়ির তাদের লিখে দেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন বর্তমানে আমি আমার সন্তানেরা বাড়িঘর ছেড়ে বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছি এছাড়াও চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এসব অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত পলি আক্তারের মুঠফোনে ফোন দিলে তিনি সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে ফোন কেটে দেন। পরে তাকে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এবিষয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার এস আই ফাইজুল জানান, এই ঘটনায় রেহেনা আক্তার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছে, আমি দুই পক্ষকে থানায় আসতে বলছি রেহেনা বলছে আমি থানায় আসলে পঞ্চায়েত এর লোকজন ছাড়া আসবো না, পঞ্চায়েত এর লোকজন কে সাথে নিয়ে বসবো, বিবাদী পক্ষ পলি ও সর্ণা থানায় আসতে চাইছিলো তবে এর পর কেউ যোগাযোগ করেনি আমাদের সাথে।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।