মুন্সীগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র- আন্দোলন গত ৪ আগস্ট সাব্বির (১৯) কোটা আন্দোলনে শরীক হওয়ার জন্য বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মুন্সীগঞ্জের সুপার মার্কেট গোলচত্তত্ব আসার চেষ্টা করেন। পরে তার ওপর হামলা করে ক্ষমতাশালী আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা।
পরে ৫আগস্ট সরকার পতন হলে আহত সাব্বিরের বাবা আব্দুল জলিল গত ২৮ আগস্ট চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২ জনের নাম উল্লেখ করে পিটিশন মামলা দায়ের করেন । যা পিটিশন মামলা নং ৬৬৮/২০২৪
মামলা সূত্রে জানা যায়, সাব্বিরকে লক্ষ্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি ছুড়িলে একটি গুলি সাব্বিরের বাহুর উপরের অংশে বিদ্ধ হইয়া ভেদ করিয়া বুকের ডান পাশে বিদ্ধ হয়। রক্ত ক্ষরণে মাটিতে লুটাইয়া পড়িলে অপর আসামি সোলেমান মোল্লা হত্যার উদ্দেশ্যে পা দিয়া বুক চাপিয়া রাখে। স্থানীয় লোকজন এবং ছাত্র আন্দোলনে উপস্থিত কতিপয় ছাত্র ধরাধরি করিয়া মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করিলে আসামি সজীব মোল্লা ও সোলেমান মোল্লা পথরোধ করে।
প্রাথমিকভাবে রক্তপাত বন্ধ করিয়া গুলি বের করা সহ উন্নত চিকিৎসার জন্য পরবর্তীতে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল হাসপাতাল, ঢাকায় নিয়া চিকিৎসা করানো হয়।
পরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মানিক দাস মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসিকে নিদেশ দেন মামলাটি রুজু করার জন।
পরে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. খলিলুর রহমান মামলাটি রুজু করেন,যার মামলা নং ২০/ তারিখ ১৩/০৯/২৪ তারিখ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সোলেমানকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের (মানিকপুর) থেকে তাকে গ্ৰেফতার করেন ।
এ বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর খালেদুজ্জান জানান ,আসামী কে গ্ৰেফতার করে আদালতে প্রেরন করা হয়েছে ।