মোঃ লিটন মাহমুদ মুন্সীগঞ্জঃ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার জনবহুল এলাকা খ্যাত ইছাপুরা চৌরাস্তা এবং মালখানগর চৌরাস্তা নিত্য যানজটে নাকাল পথচারী, চালক ও আরোহীরা।
স্থানীয়রা বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, নির্দিষ্ট একটি সময়ে প্রতিদিন শ্রীনগর থেকে মালখানগর এবং ইছাপুরা থেকে সিরাজদিখান রাস্তার মধ্যবর্তী ইছাপুরা চৌরাস্তা এবং মালখানগর চৌরাস্তায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে।
তীব্র যানজটের কারণে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। প্রায় সময়ই ৫ মিনিটের রাস্তা যেন ৫ কিলোমিটার হয়ে দাঁড়ায়। এখানকার যানজট নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে পড়েছে।
রবিবার বিকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ইছাপুরা চৌরাস্তা এবং মালখানাগর চৌরাস্তার এই দুটি স্থানে যত্রতত্র ইজিবাইক, সিএনজি পার্কিং,পণ্যবাহী গাড়ি থামিয়ে মালামাল উঠানো নামানো, রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে বাস থেকে যাত্রী ওঠানো-নামানো ও রাস্তার মাঝে ইজিবাইক ঘোরানোর কারণে সৃষ্ট যানজটে ভোগান্তি যেন দিন দিন বেড়েই চলছে। মূল সড়ক তো বটেই ফুটপাতগুলো দিয়ে হাঁটার কোন সুযোগ নেই।
এছাড়াও সড়ক বিভাগ, জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও এলজিইডির জায়গা দখল করে উভয় পাশেই দুই শতাধিক অবৈধ ভাসামান দোকানপাট ও স্থাপনা গড়ে উঠেছে। অবৈধ দোকানপাটের ও ভাসমান খাবারের দোকানের কারণে এ সড়কের প্রশ্বস্ততা কমে গেছে। ফলে পথচারীসহ যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধতার পাশাপাশি এ সড়কটিতে প্রতিনিয়তই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে এলাকবাসীকে চলাচলের সময় চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বাদ পড়ছে না স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও।
জরুরী ভিত্তিতে ব্যস্ততম এই এলাকা থেকে সকল ধরণের অবৈধ ভাসামান দোকানপাট বাস কাউন্টার উচ্ছেদের দাবি জানান এলকাবাসী।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরীফুল আলম তানভীর দৈনিক সভ্যতার আলোকে বলেন, আমরা মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ৩১ অক্টোবর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মহোদয়ের উপস্থিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে সাথে নিয়ে সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে এবং যানজট নিরসনের সকল প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। যে ভাবে গাড়ি পার্কিং করলে যানজট সৃষ্টি না হয় সে পদক্ষেপও গ্রহণ করব।