রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনামঃ
“প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ” জানিয়েছেন মজিবুর রহমান দেওয়ান কালিগঞ্জ প্রেসক্লাবের কার্য নির্বাহী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে  বকশীগঞ্জের মুনীরা বেগম জামালপুর জেলার শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত ভাঙ্গায় এখনও ছাত্রীদের ক্লাস নেন সেই “লম্পট” আজাদ! (পর্ব-১) মুন্সীগঞ্জে মামলার পলাতক আসামি গ্ৰেফতার। বকশীগঞ্জে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবিতে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন পদত্যাগী সভাপতি এখন মাঠে সরোব। তৃণমূল পর্যায়ে নেতা কর্মীদের ক্ষোপ । মুন্সীগঞ্জে টঙ্গীবাড়ীতে হত্যাচেষ্টার মামলার বাদীকে হত্যার হুমকি । মুন্সীগঞ্জে জেলার শ্রেষ্ঠ কাব শিক্ষক নির্বাচিত হলেন জিনিয়া ফেরদৌস । বকশীগঞ্জে এক দফা দাবিতে নার্স ও মিডওয়াইফারিদের স্মারকলিপি প্রদান

মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে হিজাব না পড়ায় আমার চুল কেটে নিয়েছে আমি আর স্কুলে যামুনা

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ২৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১২৪ বার পঠিত

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:

হিজাব না পড়ায় আমার চুল কেটে নিয়েছে আমি আর স্কুলে যামুনা বলে কেদে চলেছেন মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মাইসা জাহান।

আজ ২৮ ফেব্রুয়ারী বুধবার মাইসা আক্তার সহ আরও ১০/১২ জনের চুল কেটে নিলেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান এবং স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিষয়ের শিক্ষিকা রুমিয়া সরকার । আজ সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী মাইসা জাহান, তানজিলা আক্তার, আনীল আক্তার, তাসফিয়া, মাহাদিয়া, সুমাইয়া ও ইফাসগ ১০-১২ হিজাব পড়ে না আসার কারণে তাদের চুল কেটে নেয়া হয় বলে জানান তারা । মাইসা জাহান ও তানজিলা আক্তারের বাড়ী সৈয়দপুরে, আনীলা আক্তার ও তাসফিয়ার বাড়ী মোহাম্মদপুরে, মাহাদিয়া ও সুমাইয়ার বাড়ী মধুপুরে, ইফার বাড়ী বাঐখোলা ।

এ ঘটনায় এলাকায় চাপা উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে । নিউজটি এখন টক অব দা টাউনে পরিনত হয়েছে ।

মাইসা জাহান বলেন, আমার একটাই হিজাব । ঐ হিজাবটা ময়লা হয়ে গেছে তাই ধুয়ে দিয়েছি এজন্য পড়ে যেতে পারিনি । ম্যাডামকে অনেক অনুরোধ করে বলেও আমি রক্ষা পাইনি ম্যাডাম আমাদের চুল কেটে দিল । তাই আমি আর স্কুলে যামু না ।

মাইসা জাহানের পিতা কহিনুর বলেন, আমার মেয়ে অন্যায় করেছে বললেই হত আমরা শাসন করতাম । তাকে চুল কেটে ন্যাড়া বানিয়ে দিল । তাই আমার মেয়েটা ভেঙ্গে পড়েছে ও আর স্কুলে যেতে চাচ্ছে না ।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক শিক্ষক বলেন, বর্তমান সভাপতি ইঞ্জিনিয়র মোঃ গোলাম হোসেন সাহেব সভাপতি হওয়ার পর ছেলে মেয়েদের ড্রেসকোড চেঞ্জ করেছে এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষকদের খুব চাপে রাখেন এবং এ বিষয়ে যে কোন এ্যাকশন নিতে বলেন ।

অভিযুক্ত শিক্ষিকা রুমিয়া সরকারকে মোবাইলে পাওয়া যায় নি ।

সৈয়দপুর আব্দুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মিয়া মোঃ ফরিদ বলেন, ক্লাসেই কেচি ছিল তাই হাতের কাছে পেয়ে এ কাজ করে ফেলেছে । তবে কাজটা অন্যায় করেছে । আমরা ব্যবস্থা নিব ।

সিরাজদিখান উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাব্বির আহমেদ বলেন, আমরা ঘটনা জেনেছি । ইতিমধ্যে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করছি । অভিযুক্ত শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রক্রিয়া চলছে । কাল সরেজমিনে গিয়ে দেখব । প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হবে ।

 

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।