শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনামঃ

মুন্সীগঞ্জে সিরাজদিখানে  নারীকে খুণের অভিযোগে বাবা ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

রিপোর্টার নামঃ
  • আপডেট সময় সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৬০ বার পঠিত

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার চাইনপাড়া কবরস্থান এলাকা থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রেখা রানি রায় (৬৫) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের এক দিন পর ওই বৃদ্ধার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে প্রদীপ বিশ্বাস বাদি হয়ে সিরাজদিখান থানায় বাবা ছেলেকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর হতে অভিযুক্ত বাবা এখনো পলাতক রয়েছে।

নিহতের ছেলে মামলার বাদি প্রদিপ বিশ্বাস বলেন, আমাদের বাড়ির একটি গাছ আমাদের প্রতিবেশী মীর হোসেন কিনতে চায়। কিন্তু সে গাছের দাম অনেক কম বলায় আমরা তার কাছে গাছ বিক্রি না করে অন্যত্র বিক্রি করি। এনিয়ে আমার মায়ের সাথে মীর হোসেনের অনেক ঝগড়া হয়। আমাদের ধারনা সেই ঝগড়ার জের ধরে মীর হোসেন আমার মাকে খুন করেছে।   আমি আমার মায়ের লাশ যেদিন পাওয়া যায় সেদিন রাতেই মীর হোসেন ও তার ছেলে শিহাবকে আসামী করে সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

নিহত  রেখা রানি রায় উপজেলার জৈনসার ইউনিয়নের পূর্ব ভাটিমভোগ গ্রামের বাসিন্দা।  বুধবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে জৈনসার ইউনিয়নের চাইনপাড়া কবরস্থান এলাকায় পরিত্যক্ত আলুর গোলার পাশে হাত-পা বাঁধা নিহতের মরদেহ পরে থাকতে দেখে স্থানীয়রা নিহতের পরিবার ও পুলিশে খবর দেয়। পরে দুপুর ১২ টার দিকে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।পারিবারিক সূত্রে ও তার দুই ছেলে মিন্টু রায় ,পবিত্র রায়  ও মেয়ে ময়না রায় জানান, তাদের এলাকার মীর হোসেনর ছেলে শিহাব মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তাদের মাকে মীর হোসেন ডেকেছেন বলে বাড়ি হতে ডেকে নিয়ে যায়।  এরৎপর তাদের মা রেখা রানি রায় রাত ৮টা পর্যন্ত বাড়ি  ফিরে না আসলে তারা আশপাশ ও গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে। পরে শিহাবদের বাসায় খোঁজ নিতে গেলে শিহাব জানায় তার মাকে শিহাব দেখেনি। ওই সময় শিহাবের বাবা মীর হোসেন বাড়িতে ছিলেন না। পরে বুধবার সকালে লোকমুখে শুনতে পান বাড়ি থেকে ১ কিলোমিটার দূরে চাইনপাড়ার কবরস্থানের পাশে একটি পরিত্যক্ত আলুর গোলা ঘরের পাশে তাদের মায়ের পায়ের স্যান্ডেল ও তার মৃত দেহ পরে আছে। পরে ওই স্থানের আসে পাশের লোকজন ও সিরাজদিখান থানা পুলিশকে খবর দেয়।

সিরাজদিখান থানা অফিসার্স  ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর  রহমান  বলেন. নিহতের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর দর্বৃত্তরা লাশ ফেলে গেছে বলে পুলিশের ধারণা। লাশ ময়নাতদন্তের পর তা বিস্তারিত বোঝা যাবে ।

সাংবাদ পড়ুন ও শেয়ার করুন

আরো জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 Sumoyersonlap.com

Design & Development BY Hostitbd.Com

কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।