মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা পান কবিরাজ শাহ জালালের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে মর্মে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত সাংবাদিক আনিসুর রহমান বাদী হয়ে সিনিয়র জুডিশয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পান কবিরাজ শাহ জালালের বিরুদ্ধে মারধর করে ক্যামেরে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন মর্মে অভিযোগ শাহ জালালের। সাংবাদিক আনিসুর রহমান কর্তৃক আদালতে মামলার দায়েরের সত্যতা নিশ্চিত করেন, আদালতের ব্রেঞ্চ সহকারী (পেসকার) ফরিদ হোসেন।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, গত বুধবার রশুনিয়া ইউনিয়নের পূ্ব রশুনিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নানের ছেলে শাহজালালের মেয়ের বিয়ের দিন তারিখ নির্ধারণ সম্পন্ন হয়। শাহ জালাল তার বাড়ীতে আসা মেহমান নিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু অভিযুক্ত সাংবাদিক আনিসুর রহমান বললেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেন, বুধবার সন্ধা ৬টার দিকে সিরাজদিখানের নিমতলা থেকে বাড়ি ফেরার পথে তার উপর হামলা চালিয়ে তার মাথায় আঘাত করে তার কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে যায় শাহজালাল কবিরাজসহ আরো বেশ কয়েকজন এবং এ বিষয়ে তিনি বাদী হয়ে শাহ জালালের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
স্থাণীয় জয়নাল শেখ, আব্দুল জাব্বার, মনির হোসেনসহ শাহ জালালের ড্রাইভার সুমন মন্ডল বলেন, বুধবার শাহ জালাল ভাইয়ের মেয়ের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে। তাই তিনি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত তার মেয়ের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে আমা ছেলে পক্ষের লোকজন নিয়ে ব্যস্ত ছিলো। তিনি সারাদিন বাড়ি থেকে বের হওয়ার সুযোগ পায় নি। তাকে আমরা সারাদিন বাড়ীতেই থাকতে দেখেছি। তাহলে সে সাংবাদিককে মারধর করলো কি করে? তার বিরুদ্ধে স্বড়যন্ত্র করে মিথ্যা মামলাসহ মারধরের মিথ্যা নিউজ করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী পান কবিরাজ শাহাজালাল সাংবাদিকদের দারস্থ হয়ে অভিযোগ করে বলেন, সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে মারধর করে তার কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার যে অভিযোগ করেছে তা পুরোটাই মিথ্যা ও বানোয়াট। আমি বুধবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আমার মেয়ের বিয়ের দিন তারিখ ঠিক করতে আসা মেহমান নিয়ে আমার বাড়ীতে ব্যস্ত ছিলাম। আমি সেদিন বাড়ী থেকেই বের হতে পারি নাই। তাহলে আমি তাকে মারধর করলাম কি করে? আমি যদি তাকে মারধর করে থাকি তাহলে আমার বিচার হবে আর যদি আমাকে হয়রানীর উদ্দেশ্যে সাংবাদিক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে থাকে তাহলে তার বিচারও এ দেশে হতে হবে।
সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।