লিটন মাহমুদ, মুন্সীগঞ্জঃ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে লায়লা আক্তার লিমু (১৭) নামের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মামলার ৫ বছর পর আদালত অভিযুক্ত খোকন নামে জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের বিচারক ফাইজুন্নেসা এ রায় দেন। এ সময় আসামি আদালতেই উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরনে জানানো হয়, ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালি গ্রামের আ. মতিনের ছোট মেয়ে ও বাড়ৈখালি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী লায়লা আক্তার লিমু কাপড় কিনতে বাড়ির পাশে বাড়ৈখালী বাজারে গিয়ে নিখোঁজ হয়।
এর তিন দিন পর ৩১ আগস্ট বাড়ৈখালী বাজারের পাশে ইছামতি নদীর পাড়ে বস্তাবন্দি অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার হয়। এরই মধ্যে বাড়ৈইখালী বাজারের দর্জি খোকনের দোকানে রক্তের গন্ধ পেয়ে স্থানীয়রা বিষয়টি নিহতের পরিবার ও পরে তারা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ খোকনকে আটক করে।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে খোকনকে আসামি করে শ্রীনগর থানায় একটি মামলা করেন। পরে খোকন আদালতে ধর্ষণের পর হত্যার কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। খোকন সিরাজদিখান উপজেলার পাউসার গ্রামের বাবুলের ছেলে।
এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট লাভলু মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, ২০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ ও দীর্ঘ শুনানির পর ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ২০১ ধারায় সাত বছরের কারাদণ্ড ও সাত হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। এই রায়ে তারা সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন বলেও জানান তিনি।
নিহতের বড় ভাই রিপন সাংবাদিকদের বলেন, তার ছোট বোনটা পরিবারের সবার প্রিয় ছিল। ওর শোকে মামলার বাদী ও তার বাবা মারা গেছেন। তার দাদাও শোকাহত হয়ে ঘটনার কিছুদিন পর মারা যান।
সর্বশেষ মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা।