উষা ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক, গাক, টিএমএস, পপি, সাজেদা ব্যাংক, প্রীদম, স্বীদিপ ও পদক্ষেপ এনজিও মিলে ২২ টি অসহায় গরীব পরিবারকে না জানিয়ে মাসুদাকে প্রদান করে আড়াই কোটি টাকা। ২২ টি পরিবারের কাউকেই ঋণের কিস্তি দিতে হয়নি একটি বারের জন্যও। সকল এনজিওর ঋণের কিস্তি দিয়েছেন একা মাসুদা নিজেই। প্রতারণার মাধ্যমে অন্যদের দিয়ে ঋণ নিয়েছেন আর মাসুদা কিস্তি দিয়েছেন।
মাসুদা পালিয়ে যাওয়ার খবর পেয়ে এনজিওগুলো এখন নড়ে চড়ে বসেছে। রোববার বিকালে আদারিয়াতলা ভোক্তভোগী ২২টি পরিবারের সাথে কথা হয় তাদের সকলেরই একটিই অভিযোগ কাউকে এনআইডি কার্ড, একটি স্বাক্ষর, একটি ছবি নিয়ে তার নামে এনজিও থেকে ঋণ উত্তোলন করেছে মাসুদা। স্বামী ছেলেকে ফ্রান্সে পাঠাতে পারছে টাকার অভাবে, ভিসা প্রসেসিং করে ফেলেছে টাকার অভাবে টিকিট কাটতে পারছে না এমন নানা ধরনের প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়েছে মাসুদার পরিবার। ঋণের জালে ফাসিয়ে দিয়েছেন ২২টি পরিবারকে।
মাসুদা বেগম দেখতে পাকিস্তানি। এক ছেলে, এক মেয়ে স্বামী নিয়ে চারজনের সংসার। খুব গোপনে ক্রয়কৃত বাড়িটিও ১৬লাখ টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। মাসুদা বেগমের পক্ষে ১০০০টাকা ঋণ নিয়ে এক হাজার দেওয়ার সামর্থ নেই। তারপরেও এনজিওগুলো জেনে শুনে মাসুদাকে সর্বমোট আড়াই কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে মাসুদার সহযোগিদের মাধ্যমে। যার কিস্তি দিতে এনজিও কাছে কোন ঋণ গ্রহিতাকে যেতে হয়নি।
৭টি এনজিওর যোগসাজসে আড়াই কোটি টাকা হাতিয়ে নিল প্রতারক মাসুদা। মাসুদার ভয়ে এলাকার কেউ কিছু বলতে সাহস পেত না। অসামাজিক কার্যকলাপ থেকে শুরু করে সকল কার্যক্রমই করেছেন এই মহিলা।
পদক্ষেপ নামক একটি এনজিও থেকে ১১লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ বিষয়ে কথা হয় মাসিক কিস্তি উত্তোলনকারী কর্মকর্তা মাশরাফুল ইসলাম জানান, এখন যাদের জিম্মাদার হিসেবে স্বাক্ষর দিয়ে লোন দিয়েছে তাদের কাছ থেকেই ঋণের টাকা আদায় করার ষড়যন্ত্র করছে এনজিও কর্মকর্তা।
মাসুদা এবং কয়েকটি এনজিওর কর্মকর্তা মিলেই আদারিয়াতলার গরিব নিরীহ লোকদের নামে বে নামে লোন দিয়ে গরীবের এখন মরণ ফাঁদ তৈরী হয়েছে। আড়াই কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা মাসুদা, স্বামী ও ছেলে। উত্তর বেতকার মাসুদা বেগম (৩৯) তার স্বামী সবুজ ঢালী ও ছেলে নাইম ঢালী বর্তমানে পলাতক রয়েছে।
মাসুদার সাথে প্রত্যেকটি এনজিও কর্মকর্তার অবৈধ সম্পর্কের বিনিময়ে আড়াই কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। মাসুদা দীর্ঘ বছর ধরেই অসমাজিক কার্যকলাপ করে প্রতারণা করে আসছে।
স্বীদ্বিপ এনজিওর কর্মকর্তা জন্টু (৩২) জানান, মাকসুদা বেগম খুব ভালো মানুষ। তাকে কিস্তি দিয়েছি। তার কিস্তির টাকা আনতে যেতে হতো না। অফিসে এসে দিয়ে যেতো। মাকসুদার সাথে অনৈতিক সম্পর্ক তৈরী করে ঋণ দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন তিনি।
উষা ব্যাংকের সিও নাম না বলার শর্তে বলেন, ৫লাখ টাকা মাসুদাকে দিয়েছেন। এছাড়া অন্য কিছু বলতে নারাজ তিনি। সরাসরি আসেন কথা হবে। ফোনে কোন কথা বলা হবে না।
২২টি পরিবার এখন অসহায়। আত্মচিৎকার করছে তারা। অনেকের সংসার ভেঙ্গে যাওয়ারও উপক্রম হয়েছে। এমনকি মিথ্যা ঋণের চাপে আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটতে পারে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।