৬০ বলে ১৪ চার ও ২টি ছয়ে পৌঁছান তিন অঙ্কে। ওয়ানডেতে আগের রেকর্ডটি সাকিব আল হাসানের দখলে ছিল। ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন টাইগার অলরাউন্ডার।
রেকর্ড ভাঙা-গড়ার ম্যাচে বেশ কয়েকটি মাইলস্টোন ছুঁয়েছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। তামিম ইকবাল তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৫ হাজার রানে পৌঁছান, কেবল ওয়ানডেতে মুশফিক ৭ হাজার ও লিটন দাস পৌঁছান ২ হাজার রানে।
দলীয় সংগ্রহ দুইশ ছোঁয়ার পর আগ্রাসী হয়ে ওঠেন মুশফিক। সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মাইলফলক থেকে ৪৫ রান দূরে ছিলেন মুশফিক। টানা দুই বাউন্ডারি মেরে মাইলফলকে পৌঁছান এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। তুলে নেন ফিফটিও।
লিটন দাসের পর নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হন সত্তর পেরিয়ে। আগের ম্যাচের মতোই সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ফেরেন বাংলাদেশের দুই ব্যাটার। তবে তাদের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়েই শেষের ওভারগুলো আগ্রাসন চালান মুশফিক-তাওহিদরা।
দলীয় রান দুইশ ছোঁয়ার আগে দ্রুত ২ উইকেট হারালে ক্রিজে আসেন নতুন দুই ব্যাটার মুশফিকুর রহিম ও তাওহিদ হৃদয়। শুরুতে একটু নড়বড়ে থাকলেও রান তোলার গতি বাড়ান দলীয় সংগ্রহ দুইশ পেরোনোর পর।
ম্যাচের শুরুতে উইকেট ধরে খেলতে গিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পড়ে খোলস ছেড়ে বের হয়ে রানের গতি বাড়ান শান্ত-লিটন। দেড়শ পর্যন্ত ঠিকঠাক থাকলেও ৮ রানের মধ্যে দুই উইকেট (সাকিব-শান্ত) হারালে খানিকটা ছন্দপতন হয়। তবে সময়ের সঙ্গে দ্রুতই মানিয়ে নেন মুশফিক-তাওহিদ। পঞ্চম উইকেটে জুটি গড়েন ১২৮ রানের।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়া বোলারদের সুবিধা এনে দিলেও সময়ের সঙ্গে কাটতে শুরু করে প্রভাব। ৬ ওভারে ১৪ রান তোলা বাংলাদেশ পরের দুই ওভারে নেয় ১৬ রান। তামিম-লিটনরা থিতু হয়ে দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন।
কিন্তু দলীয় দশম ওভারে ঘটে বিপত্তি। দলীয় ফিফটির আগে রান আউট হয়ে ফেরেন তামিম। জন্মদিনে আক্ষেপ নিয়ে তাকে ছাড়তে হয় মাঠ। ৩১ বলে চার বাউন্ডারিতে বাংলাদেশ অধিনায়ক করেন ২৩ রান।
এরপর লিটন-শান্ত মিলে ১৪০ রানের জুটি গড়ে। বাংলাদেশের নবম ব্যাটার হিসেব ওয়ানডেতে ২ হাজার রানের মাইলফলক ছুঁয়ে ৭১ বলে ৭০ রান আউট হন লিটন দাস।
এর পর নাজমুল হাসান শান্তও তুলে নেন ফিফটি। ক্যারিয়ারের তৃতীয় ফিফটির দেখা পেলেও বেশি দূর এগোতে পারেননি তিনি। ৭৭ বলে ৭৩ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন শান্ত। ১৯ বলে ১৭ রান করা সাকিবকে ফেরান হিউম।
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে লিটনের দরকার ছিল ৫৫ রান। ফিফটি পেরিয়ে লিটন পৌঁছান ২ হাজারে।
২০১৫ সালে ক্যারিয়ার শুরু করা লিটন সেঞ্চুরি করেছেন পাঁচটি। ফিফটির সংখ্যা আটটি। লিটসের আগে বাংলাদেশের কেবল আট ব্যাটার দুই হাজার কিংবা তার বেশি রান করেছেন।
তিনটি করে চার-ছক্কায় ৭১ বলে ৭০ রান করে আউট হন লিটন। সত্তরের ঘরে আউট হন নাজমুলও।
দলীয় ৪২ রানে বাংলাদেশ হারায় প্রথম উইকেট। ২৩ রান করে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন তামিম।
(সুত্রঃ- চ্যানেল আই অনলাইন)