আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট):
মোংলায় জাল ওয়ারিশ সনদ দিয়ে নামজারী খতিয়ান সৃষ্টি করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নামজারী খতিয়ানটি বাতিলের জন্য মৃদুল চন্দ্র বৈরাগী মোংলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসে একটি আপত্তি দাখিল করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মিঠাখালি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের পশ্চিম দত্তেরমেঠ অধিবাসী মনোহর চন্দ্র রায় নেপালী বৈরাগী নামে একটি কণ্যা সন্তান থাকা অবস্থায় মারা যায়। পিতা কর্তৃক প্রাপ্ত ও দাদার ক্রয় সম্পত্তির বিএস খতিয়ান ভূক্ত ভূমি হাতিয়ে নেওয়ার জন্য সুরাজ বৈরাগীর ওয়ারিশ নাই দেখিয়ে মিঠাখালি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডলের ভুয়া স্বাক্ষর দিয়ে একটি ওয়ারিশ সনদ তৈরী করে। এছাড়া ভূমি অফিস থেকে সুরাজ বৈরাগীর ২.০৪০০ শতক ভূমির নামজারী খতিয়ান অনুমোদন নেয়।
দত্তেরমেঠ মৌজায় বি.আর.এস ৪৩৮ ও ৫১৪ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক সুরাজ বৈরাগী এবং বি.আর.এস ৩৪৮ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মালিক মনোহর বৈরাগী স্বত্ত্ববান ও ভোগ দখলে থেকে মৃত্যুবরণ করায় সুরাজ বৈরাগী পৈত্রিক ওয়ারেশ সূত্র প্রাপ্ত হন।
সুরাজ বৈরাগী তার নিজ নামে রেকর্ডীয় ও পৈত্রিক ওয়ারেশ সূত্রে প্রাপ্ত ২.০৪০০ একর জমিজমা তার সহোদর ভাই (বাদী)’র অনুকুলে হুইল করে দেওয়ায় সুরাজ বৈরাগীর মৃত্যুঅস্তের মৃদুল চন্দ্র বৈরাগী উক্ত উইল প্রবেট করার নিমিত্তে ২০মার্চ বাগেরহাট জেলা জজ ডেলিগেট (১ম যুগ্ম জেলা জজ) আদালত, বাগেরহাট এ মিস ২৫/২৩ নং মোকদ্দমা দায়ের করে। যা এখনো চলমান। কিন্তু মৃদুল চন্দ্র বৈরাগীর নামে উইলকৃত উক্ত ২,০৪০০ একর জমিজমা তার ভাইয়েরা তাদের নিজ নামে নামপত্তন করিয়ে নেয়।
এব্যাপারে প্রমাংশু কুমার বৈরাগী (রায়) বলেন, ওটা একেবারে অর্জিনাল। ওটা এ্যাসিলেন্ডের ওহনি দেহা দেহি হবে, তার পরে দেহা যাবে। ওডা জজ কোর্টে আমার কেচ আছে। চেয়ারম্যান তো অনেক কিছুই করতে পারে।
এ বিষয়ে মিঠাখালি ইউপি চেয়ারম্যান উৎপল কুমার মন্ডল জানান, বিগত ১৪/০২/২০২৩ সালের ৩১/২০২২ স্মারক এর প্রমাংশু কুমার বৈরাগী যে ওয়ারিশ সনদটি দেখাচ্ছে সেটি আমার ইস্যূকৃত নয় এবং এর স্বাক্ষরটিও আমি করিনি। আমি ভুয়া ওয়ারিশ সনদের ব্যাপারে একটি প্রত্যয়নপত্র দিয়েছি।