আলী আজীম,মোংলা (বাহেরহাট):
মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে সারাদেশের মতো মোংলায় ঘর পাচ্ছেন ১৭০ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘর হস্তান্তর কার্যক্রম উদ্ধোধন করবেন। সোমবার (২০ মার্চ) সকাল ১০ টায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) দীপংকর দাশ’র সভা কক্ষে প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে সাংবাদিকদের এ তথ্য দেন।
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী, দেশরত্ন ও উন্নয়নের জাদুকর শেখ হাসিনা কর্তৃক আগামী বুধবার (২২ মার্চ) দেশ ব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন সেই বিষয়টি সাংবাদিকদের অবগত করেন তিনি। একজন ভূমিহীন ও অসহায় পরিবারের মাথা গুজার ঠাই হিসেবে ও আত্মমর্যাদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশব্যাপী ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান করছেন। প্রধানমন্ত্রীর এ মহৎ উদ্দেশ্য প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ পরিবেশন করার জন্যে ইউএনও সাংবাদিকদের আহবান জানান।
ইউএনও দীপংকর দাশ এসময় বলেন, প্রকৃত ভূমি ও গৃহহীনদের যাচাই করে ১২০ জন পরিবারের তালিকা এরই মধ্যে চূড়ান্ত করা হয়েছে। বুড়িরভাঙ্গা ইউনিয়নে সানবান্ধা মৌজা ও সোনাইলতলা ইউনিয়নে উলুবুনিয়া মৌজায় ১২০ টি ঘর হস্তান্তর করা হবে।
এ ঘরে ২ কক্ষ বিশিষ্ট রঙিন টিনের সবুজ মেরুন সেমিপাকা ঘর। মূল খণ্ডে রয়েছে ২টি রুম, ১টি বারান্দা, পিছনে অংশে এক পাশে রান্নাঘর ও টয়লেট।
প্রথম ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীন ৫০টি পরিবারের জন্যে গৃহ নির্মাণ করে গৃহহীনদের মাঝে দেওয়া হয়। প্রথম ধাপে প্রতিটি ঘরের জন্য ব্যয় হয় ১,৭৫,০০০ টাকা (একলক্ষ পঁচাত্তর হাজার) টাকা, ২য় ধাপে প্রতিটা ঘরের ব্যয় হয় ১,৯০,০০ (একলক্ষ নব্বই হাজার) টাকা, ৩য় ধাপে প্রতিটি ঘরের জন্য ব্যয় হয় ২,৪০,০০০ (দুই লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা এবং চতুর্থ ধাপে প্রতিটা ঘরের জন্য ব্যয় হয় ২, ৮৪, ৫০০ ( দুই লক্ষ চুরাশি হাজার পাঁচশত) টাকা।
৪র্থ পর্যায়ে ৪টি জানালার পরিবর্তে ৫টি জানালা সংযুক্ত করা হয়েছে। ঘরের বারান্দায় আরসিসি পিলার, ঘরের বেজমেন্টে আরসিসি ঢালাই, গ্রেডবীম ও টানা লিন্টেল সংযুক্ত করা হয় ও চতুর্থ ধাপে আধুনিক ও উন্নত মানের গৃহ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণ কাজে শতভাগ উন্নত মানের উপকরণ ব্যবহার করে আধুনিক ও দর্শনীয় গৃহ নির্মাণ করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছে নন্দিত হয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোঃ জাফর রানা ও স্থানীয় সাংবাদিকবৃন্দ।