আব্দুল্লাহ ফারুক, (বাগেরহাট) প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাটের মোল্লাহাটে অসহায় এক মৎস্য ঘের পাহারাদারের স্ত্রীকে দিনদুপুরে ধারালো অস্ত্র (হাসুয়া) দিয়ে জবাইয়ের ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার রাজপাট বিলে জনৈক মজিবর রহমানের মৎস্য ঘেরে শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ধর্ষণ চেষ্টাকারী উপজেলার রাজপাট গ্রামের জজরুল জমাদ্দারের ছেলে মোহাম্মদ আলী ক্লে (২২)। ভিকটিমের বাড়ি বাগেরহাটের মংলা উপজেলার চাপড়া গ্রামে।
এ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে সরেজমিনে গেলে ভিকটিম (১৯) জানান, অভাবের তাড়নায় বাগেরহাটের মংলা হতে এসে মোল্লাহাটের এই ফাঁকা বিলের মধ্যে মাসিক বেতনে মৎস্য ঘের পাহারা দেন তাঁরা। একই সাথে গত ৭/৮ মাস ধরে ঘেরের ছোট ঘরে বসবাস করছেন। এতদিনে কোন সমস্যা হয়নি। ঘটনার কিছু আগে আমার স্বামী ঘেরের পাড়ের লাউ শাক কেটে বিক্রি করতে যান মাদ্রাসা ঘাট বাজারে। তখন আমার ৯ মাস বয়সী কন্যা শিশুকে নিয়ে ঘেরের ঘরে ছিলাম। এই সুযোগে ওই ঘেরের পাশে ঘাস কাটাতে থাকা মোহাম্মদ আলী ওরফে ক্লে (২২) ঘরে ঢুকে কুপ্রস্তাব দেয়। রাজী না হওয়ায় তার হাতে থাকা হাসুয়া (ধারালো অস্ত্র) দিয়ে আমাকে জবাই করতে উদ্ধত হয়। তখন ইজ্জত ও জীবন বাঁচাতে মৌখিক রাজি হয়ে আমার কোলে থাকা কন্যা শিশুকে শোয়ানোর সু্যোগ চাই। তখন দ্রুত শোয়ানোর সু্যোগ দিলে কৌশলে কন্যাশিশুকে নিয়ে বের হয়ে কিছুটা দূরে থাকা জনৈক মুরব্বি (কবির) জমাদ্দারের দিকে দৌড়ে যাই এবং বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকি। তখন কবির জমাদ্দার এগিয়ে আসায় লম্পট পালিয়ে যায়।
ভিকটিমের স্বামী জানান, কোন রকম আমার স্ত্রীর সম্ভ্রম ও জীবন বেঁচে গেছে। আমরা এখানে থাকবো না। লোকলজ্জার ভয়ে মামলাও করার ইচ্ছা নাই।
প্রত্যক্ষদর্শী কবির জমাদ্দার জানান, শয়তান কাঁধে চাপায় এ ঘটনা ঘটেছে। এর যথাযথ বিচার করা হবে বলেও জানান তিনি।
মোহাম্মদ আলী ক্লেকে না পাওয়ায় তার পিতা জজরুল জমাদ্দার জানান, তিনি ঘটনা স্থলে থাকলে এমনটা হতো না। স্থানীয়রা যে বিচার করবেন তিনি তা মেনে নিবেন।