প্রশান্ত বিশ্বাস,বাঘারপাড়া( যশোর) প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। আমাদের প্রতিটা ঋতুর রয়েছে আলাদা আলাদা ফলন ও স্বাদ। আর শীতকাল মানেই যোগ হয় আমাদের খাবারের তালিকায় নতুন নতুন সুস্বাদু খাবার। শীতের সকালে ঘুম থেকে উঠে গ্রাম গুলোতে চলে খেজুর রস আহরণ এবং রস থেকে গুড় তৈরির প্রকৃয়া।
আবহমানকাল থেকেই সারা দেশবাসী পরিচিত – “যশোরের যশ, খেজুরের রস” প্রবচনটি সাথে। শীতের শুরুতে খেজুরের রস, গুড় আর পাটালির জন্যে দেশের মানুষ উদগ্রীব হয়ে থাকে এর স্বাদ-গন্ধ নিতে। আর শহরে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের সহ গ্রাম পাড়া প্রতিবেশী ছোট বড় বৃদ্ধা কিশোর যুবক নিয়ে সমাগম ঘটে গ্রামের বাড়িতে, স্বজনদের কাছে।প্রাচীন তমো শীতের পিঠা- পুলি-পায়েস সহ খেজুরের রস দিয়ে ভিজানো চিতৈই পিঠা আরও রয়েছে গ্রামীন ভাষায় বলা হয় রসের যাও ইত্যাদি খাওয়াই প্রধান উদ্দেশ্য।
দৈনিক সময়ের সংলাপ কে বলেন।
বাঘারপাড়া উপজেলা, জহরপুর ইউনিয়নের, হারুন কাকা (৪০) বলেন।
গাছের সংখ্যা কমে যাওয়া, গাছিদের অনাগ্রহ ও ন্যায্যমূল্যের অভাবে কিছুটা ভাটা পড়েছে এই শিল্পে। নানা সংকটের মধ্যেও এই অঞ্চলের খেজুরের রস ও পাটালি আর গুড়ের উৎপাদন ও বিকিকিনি চলছে। এখানেই মেলে বিখ্যাত নলেন গুড়।
যশোর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, যশোরের আট উপজেলায় সাত লাখ ৯১ হাজার ৫১৪টি খেজুরগাছ আছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি যশোর সদর, মণিরামপুর, শার্শা, চৌগাছা ও বাঘারপাড়া উপজেলায়। গত বছর জেলায় চার হাজার ৬৪ মেট্রিক টন গুড়-পাটালি ও প্রায় দুই হাজার ৫৬০ মেট্রিক টন রস উৎপাদন হয়েছে। স্থানীয় বাজারের চাহিদা মিটিয়ে যায় এসব গুড়-পাটালি দেশের অন্যান্য জেলায় সহ,দেশের গন্ডী পেরিয়ে বিভিন্ন দেশে রপ্তানি হয়।