আলী আজীম, মোংলা (বাগেরহাট)
যারা হত্যা ও ভোট চুরির রাজনীতি করেছে তারাই আজ গণতন্ত্রের কথা বলে। তারা দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছিল দেশের সাধারণ মানুষ শান্তি-সুখে বসবাস করবে। আজ সেই শান্তি বিনষ্ট করছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থকরা।
বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পর স্বাধীনতাবিরোধীরা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় পুনর্বাসিত হয়ে পাকিস্তানি ভাবধারায় দেশকে পরিচালিত করতে চেয়েছিল। তারা এ দেশের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলতে নানা উদ্যোগ নেয়। শাসকদের রোষানলে বঙ্গবন্ধুর নাম উচ্চারণও যেন নিষিদ্ধ হয়ে পড়েছিল। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ঠেকাতে কুখ্যাত ‘ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ’ জারি করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর অবিনশ্বর চেতনা ও আদর্শ ছিল মৃত্যুঞ্জয়ী। ঘাতকের সাধ্য ছিল না ইতিহাসের সেই মহানায়কের অস্তিত্ব বিনাশ করার। কলঙ্কিত ও নৃশংস এ হত্যাকাণ্ডে বাংলার ঘরে ঘরে ছিল দীর্ঘশ্বাসের সঙ্গে চাপা ক্ষোভ। প্রতিবাদ প্রকাশে উন্মুখ ছিল দেশের আপামর জনতা।
শনিবার (২৬ আগষ্ট) বিকালে ঠোটারডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ চত্বর মিঠাখালি ইউনিয়ন আ’লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
বক্তারা আরো বলেন, একটি বৃহৎ পরাশক্তির ছত্রছায়ায় প্রণীত সুপরিকল্পিত প্রয়াস ছিল ‘৭৫-এর ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থান। এদিনটি শুধু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আরো কিছু লোকের হত্যাকান্ডের স্মারক বা আওয়ামী লীগ সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির ঘটনা নয়। এটি ছিল রাষ্ট্র শাসন এবং সরকারি যন্ত্রের ভিন্ন পথে সম্পূর্ণ বিপরীত স্রোতে যাত্রার সূচনা। এই অভ্যুত্থান যেমন ছিল একটি বৃহৎ পরাশক্তির ছত্রছায়ায় প্রণীত সুপরিকল্পিত প্রয়াস, তেমনি এর টাইমিং ছিল গভীর চিন্তাপ্রসূত। বস্তুত, ১৫ আগস্ট, ১৯৭৫ থেকেই বাংলাদেশে এক বিপরীত ধারার যাত্রা শুরু করে। বেসামরিক সরকার উৎখাত প্রাপ্ত হয়ে সামরিক শাসনের অনাচারি ইতিহাস রচিত হতে থাকে এদিন থেকে। স্বাধীনতাবিরোধী চক্র ৭৫ এর ১৫ আগস্টে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করে জাতিকে কলঙ্কিত ও শোকাবহ করে তুলেছে। সে শোককে শক্তিতে রুপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশকে একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরেছেন।
মিঠাখালি ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি প্রীতিশ চন্দ্র হালদার’র সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব ইদ্রিস আলী ইজারাদার।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: ইব্রাহিম হোসেন, ১নং চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মো: তারিকুল ইসলাম, সোনাইল তলা ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সরদার হুমাউন কবির, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মিঠাখালি ইউপি সাবেক চেয়ারম্যান ইস্রাফিল হাওলাদার, সুন্দরবন ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য খাঁন আহাদুজ্জামান, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান ছোটমনি, মিঠাখালী ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মো: জাহাঙ্গীর হাওলাদার, সবেক ইউপি সদস্য আরিফ ফকিরসহ স্থানীয় আ’লীগের নের্তৃবৃন্দ ও সকল সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা সভা শেষে ৭৫ এর ১৫ আগস্টে শাহাদাৎ বরণকারী ও ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও দোয়া করা হয়।
আলী আজীম, মোংলা
০১৯২৫২৯৬৮২২