সকালে উৎসবমুখর, দুপুরে মাঠ শূন্য। বিকালে একেবারেই ছিল না ভোটার। তবুও ভোট হয়েছে প্রায় ৮০ ভাগ। এমনই ছিল রাঙামাটি ২৯৯ নং আসনের ভোটের মাঠের চিত্র।
তবে কোনো কোনো কেন্দ্রে ভোট ৪৫ ভাগ সম্পন্ন হলেও বেশিভাগ কেন্দ্রে ছিল ৮০ ভাগ পরিপূর্ণ। রবিবার সকাল ৮টায় শুরু হয় রাঙামাটির ১০টি উপজেলার ২১৩টি ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম।
জেলা সদরসহ বরকল, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি, লংগদু, নানিয়ারচর, কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বাঘাইছড়ির দুর্গম উপজেলাগুলোতেও স্বাভাবিক ছিল ভোটগ্রহণ কার্যক্রম। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সকালে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালি নারী পুরুষ ভোটারদের উপস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও অদৃশ্য কারণে আধাবেলায় শূন্য হয়ে পড়ে ভোট কেন্দ্র। কমে যায় উৎসব উচ্ছ্বাসও।
আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা মাঠে থাকলেও অদৃশ্য ছিল স্বতন্ত্র প্রার্থীর লোকজন। সকাল সাড়ে ১০টায় চম্পক নগর এলাকায় স্ত্রী-সন্তান সাথে নিয়ে ভোট প্রয়োগ করেন আওয়ামী লীগের নৌকার প্রার্থী দীপংকর তালুকদার। এরপর রাঙামাটির কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণ করেন তিনি। তবে একেবারেই ভোটের মাঠে ছিল না আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিপরীতে দাঁড়ানো স্বতন্ত্র প্রার্থী (লাঠি) আমর কুমার দেয় ও তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী (সোনালী আশ) মো. মিজানুর রহমান। কেন্দ্রগুলোতে ছিল না তাদের কোনো পোলিং এজেন্টও।
রাঙামাটি প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মো. ইকরামুল উল্লাহ চৌধুরী বলেন, অনেক শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ছিল রাঙামাটির ভোট কেন্দ্রগুলোতে। সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ৪৫ ভাগ ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া ভোটগ্রহণ কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।