মুন্নি আক্তার, নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাঙ্গুনিয়ায় কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে হামলার শিকার শহীদুল্লাহ্ (২৫) হত্যা মামলার প্রধান অভিযুক্ত আসামি মো. মফিজ (৩৩) ওরফে মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে খাগড়াছড়ি সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
অভিযুক্ত মনি উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পশ্চিম ধোপাঘাট এলাকার শাহ আলমের ছেলে।
আজ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কোদালা ইউনিয়নের ধোপাঘাট সিকদার বাড়ি এলাকার ফজল করিমের ছেলে শহিদুল্লাহ গত ২৯ সেপ্টেম্বর রাত ১১টার দিকে তার ৭ বন্ধুর সাথে মাছ ধরতে কর্ণফুলী নদীতে যায়। তারা কোদালা ধোপাঘাট ব্রিকফিল্ড এলাকায় রাত ২টার দিকে মাছ ধরতে নামে। এসময় অজ্ঞাত ৭/৮ জন যুবক তাদের ওপর ইটপাটকেল নিয়ে হামলা চালালে অন্যরা পালিয়ে গেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় শহীদুল্লাহ।
এরপর ১ অক্টোবর ভোর ৭টায় শিলক ইউনিয়নের ভান্ডারির স’মিল ঘাট থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার হয়।
এই ঘটনায় গত ২ অক্টোবর দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থামায় হত্যা মামলা দায়ের করেন তার পিতা। মামলায় মনি ছাড়াও তার বড় ভাই মো. নাছের (৪২) এবং কোদালা ধোপাঘাট জান মোহাম্মদ বাড়ির ছৈয়দ আলমের ছেলে আবদুল হান্নানসহ (৩৫) অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন বলেন, “মামলার পর থেকে অভিযুক্ত আসামিদের ধরতে আমরা তৎপর ছিলাম। সোমবার গোপন সংবাদে খবর পেয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আদালতে তার বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। তবে আদালত পরবর্তী তারিখে এর শুনানি করবে। অন্য আসামিদেরও ধরতে আমরা চেষ্টা চালাচ্ছি।”
নিহতের পিতা অভিযোগ করে বলেন, “আমার ছেলে পেশায় রাজমিস্ত্রি এবং পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিল। আমার ছেলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে নির্মমভাবে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে পানিতে ফেলে দিয়েছে তারা। হামলাকারীদের মধ্যে তিনজনকে চিনে ফেলেছে আমার ছেলের বন্ধুরা। তাদের নেতৃত্বেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমি অন্য আসামিদেরও গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।