উত্তম চক্রবর্তী,মনিরামপুরঃ
যশোরের ‘রাজগঞ্জ-পুলেরহাট’ সড়কের রাজগঞ্জ থেকে খেদাপাড়া পর্যন্ত সড়কটি সংস্কারের অভাবে বেহাল দশায় রুপ নিয়েছে। সড়কের মাঝখানে মাঝখানে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটছে প্রতিনিয়িত। নির্মাণের পর একবারও এ সড়কের সংস্কার করা হয়নি। ফলে প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে চলাচলরত যানবাহন ও যাত্রীদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন- এ আঞ্চলিক সড়কটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, শীঘ্রই কাজ শুরু হবে। মনিরামপুর উপজেলার খেদাপাড়া বাজার থেকে রাজগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার। এএলাকার মানুষের যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম এই সড়ক। যাতয়াতে কম সময় লাগায়, বিধায় সড়কটি ব্যবহার করে থাকে ব্যস্ততম যাত্রী সাধারণরা। শুধু তাই নয় পাইকগাছা, কেশবপুর ও সাতক্ষীরা থেকে ঢাকাগামী যানবহনও এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে। উল্লেখিত আঞ্চলিক সড়কের দু’পাশে বসবাসরত বাসিন্দারা জানান- বেশ কয়েকবছর আগে এ সড়কটি নির্মান করা হয়। এরমধ্যে সড়কের মাঝখানে মাঝখানে ভেঙ্গে যেয়ে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত।
একটু বৃষ্টি হলেই, এই গর্তের মধ্যে পানি জমে থাকে। তখন এই সড়কে চলাচলরত ভ্যানগাড়ীসহ ছোট ছোট যানবহনগুলো দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। স্থানীয় শাহিনুর রহমান (৪৫) নামের একজন বাসিন্দা বলেন- বিশেষ করে এ সড়কের রাজগঞ্জ- হানুয়ার বটতলা থেকে খেদাপাড়া বাজার পর্যন্ত ভয়ানক অবস্থা। তিনি জানান- এ সড়ক নির্মাণের পর এখানো সংস্কার কাজ করা হয়নি। সরেজমিনে দেখা গেছে- রাজগঞ্জ হানুয়ার বটতলা থেকে খেদাপাড়া বাজার পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ সড়কের বাকি অংশের বিভিন্ন জায়গায় রাস্তা ফুলে ফেঁপে উঠে ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়েছে। কোথাও কোথাও পিচ এবং ইটের খোয়া উঠে মাটি দেখা যাচ্ছে। সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন- অত্যন্ত ব্যস্ততম ও জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। সড়কটি ভেঙ্গে যাওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। স্থানীয়রা আরও জানান- এ সড়কটি কয়েক বছর আগে নির্মান করা। এতো দ্রুত সড়কটি নষ্ট হওয়ার কথা নয়। সড়ক নির্মাণের কাজ সঠিক না হওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। এখন সড়কটি দ্রুত সংস্কার করা প্রয়োজন বলে জানান তারা। উপজেলা প্রকৌশলী বিদ্যুৎ কুমার দাস বলেন- বিদেশী ইউকেয়ার নামক একটি প্রকল্পের মাধ্যমে এ সড়কের সংস্কার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হবে।