নতুন প্রজন্ম এবং বিভিন্ন স্তরের নেতা কর্মী জারা রাজনীতি করে তাদের উদ্যেশ্য বলেন, দাইয়ানুর রহমান (মিষ্টারনুর)
আপনাদের রাজনীতি করার প্রয়োজন নেই প্রথমে বাংলাদেশ এর ইতিহাস জানুন ! অনেকে মেজর জিয়াকে নিয়ে বাংলার ইতিহাস বিকৃতকরণ করে আসলে তারা জানেন সঠিক ইতিহাস)? নতুন প্রজন্মের জন্য তুলে ধরলাম সত্য ইতিহাস। একটু দেখুন তো?
১৯৪৭ সালে পাক -ভারত দেশ বিভাগের আলোচনা হয় সেখানে কি জিয়া আছে?
১৯৪৯ সালে আওয়ামীলীগের জম্মের সময় জিয়ার অবস্থান আছে?
১৯৫২ সালে ২১ই ফেব্রুয়ারীর ভাষা আন্দোলনে কি জিয়ার কনো অবস্থান আছে?
১৯৫৪ সালে পাকিস্তান যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠানে জিয়া কি আছ?
১৯৫৬-সালে পাকিস্তানের সংবিধান রচনা করে সেখানেও জিয়া নেই!
১৯৫৮- সালে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনের সময় জিয়া নেই!
১৯৬২-সালে শিক্ষা আন্দোলনের জিয়া নেই!
১৯৬৫-সালে পাক-ভারত যুদ্ধে জিয়া নেই!
১৯৬৬-সালে ছয় দফা আন্দোলনের জিয়া নেই!
১৯৬৭-সালে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা জিয়া নেই!
১৯৬৯- সালের গণ অভ্যুত্থানে জিয়া নেই!
১৯৭০- সালে পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচন ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনে জিয়া নেই!
১৯৭১-সালে পৃথিবীর ইতিহাসের অনন্য দলিল- ৭ই মার্চ ভাষণ সেখানেও জিয়া নেই!
১৯৭১- সালের ১৯শে মার্চ ইয়াহিয়ার এসেম্বলি কলে জিয়া নেই!
১৯৭১- সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তান হানাদার বাহিনী কর্তৃক অপারেশন সার্চ লাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙ্গালী হত্যার সেই প্রতিরোধেও জিয়া নেই!
১৯৭১-সালের ২৫শে মার্চ রাতে ভোর চারটায় ইপি আর এর ওয়ারলেসের বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল সেখানেও জিয়া নেই!
১৯৭১- সালের ২৬শে মার্চ কালুরঘাটে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার আদেশটি বেলাল আহম্মেদ কর্তৃক পাঠের সময়ও জিয়া নেই !
পরবর্তিতে তিনি বঙ্গবন্ধুর পক্ষে ঘোষনা পাট করেন।
১৯৭১ – সালে ২৭-মার্চ সেই কালুর ঘাটে কিছু নেতা আর মেজর জিয়ার সহযোগীরা মেজর জিয়াকে ডেকে এনে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণা আদেশটি ( বঙ্গবন্ধু আদেশ) পাঠ করালেন!
তিল তিল করে ২৪ বছরে গড়ে উঠার বাঙালীর স্বাধীকার ও মুক্তির সংগ্রামে কোথাও জিয়া নেই! কিন্তু হঠাৎ এক দল বর্ণচোর নামের বুদ্ধিজীবি স্বাধীনতার ২২ বছর পরে বিএনপিকে ক্ষমতা বসিয়ে ঘোষণা দিলেন এক জন মেজয় জিয়া বাংলাদেশ স্বাধীনতার ঘোষক! সত্যি লজ্জা লাগে এই সমস্ত মিথ্যাচার করে
এটা শুধু ইতিহাস বিকৃতি করা না, ইতিহাস নিয়ে চরম রসিকতাও
করে এমন বিকৃত মনের মস্তিষ্ক নিয়ে মিথ্যাচার করে বেড়ানো
নতুন প্রজম্মর+৫ জন্য এসব জানা খুবই জরুরী।
ইতিহাস জেনে রাজনীতি করুন।
দাইয়ানুর রহমান মিষ্টারনুর
সভাপতি, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কুয়েত শাখা