সেলিম রেজা, বান্দরবান জেলা প্রতিনিধিঃ
বান্দরবানের লামা উপজেলার সরই ইউপির ১০ শয্যার মা ও শিশু কল্যাণ চিকিৎসা কেন্দ্রটি চিকিৎসক ও জনবলের অভাবে প্রায় ৪ বৎসরে ও চালু হয়নি।দূর্গম পাহাড়ের মানুষের চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল নির্মানের উদ্যোগ নেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম। পরে বান্দবান পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈশিং এম পি ২০২০ সালে ১৫ ফেব্রুয়ারীতে এটি উদ্বোধন করেন।
সরে জমিনে দখা গেছে, আধুনিক চিকিৎসার সরণ্জামে সজ্জিত হাসপাতালটিতে রয়েছে ৩ তলা বিশিষ্ট ২টি ভবন, ডেলিবারি রুম, আল্টাসোনোগ্রাফিসহ বিভিন্ন পরীক্ষা ও চিকিৎসা ব্যবস্থা। এটি চালু হলে লামা উপজেলার সরই ও এর আশেপাশের কয়েকটি ইউপির হত দরিদ্র মহিলারা বিনা মূল্যে চিকিৎসা নিতে পারবেন। কিন্তু এটি এখনো চালু না হওয়ায় চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা।
উদ্বোধনের এত দিন পার হলে ও এটি চালু না হওয়াতে স্থানীয় বাসিন্দা খালেদা আক্তার বলেন, আমরা স্থানীয় লোকজন হাসপাতালটি উদ্বোধনের আগে থেকেই অপেক্ষা করছি চিকিৎসার জন্য। কিন্তু এখনো মহিলাদের ডেলিবারির জন্য দূরে চলে যেতে হয়,এটি হত দরিদ্র মহিলাদের জন্য ব্যয়বহুল।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জুবাইদা আক্তার জানান,ইতিমধ্যে একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও জনবল সংকটে হাসপাতালটি পুরোদমে চালু করা যাচ্ছে না। সংকট কাটিয়ে এটি দ্রুত চালু হবে,এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
স্থানীয় বাসিন্দা ময়না বেগম বলেন, বাড়ীর পাশে হাসপাতালটি হওয়ায় খুব খুশি হয়েছিলাম,তবে অনেক দিন ধরে পড়ে আছে এটি চালু হয়নি।আমার প্রতিবেশী ফাতেমাকে পদুয়ায় গিয়ে ডেলিবারি করাতে হয়েছে।সরই ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস বলেন, গজালিয়া,আজিজ নগর ও সরই ইউপির লক্ষাধীক বাসিন্দাদের চিকিৎসা দেওয়ার জন্য এই হাসপাতালটি নির্মিত হয়। তবে চালু না হওয়ায় প্রসূতিদের পার্শ্ববর্তী এলাকা চট্টগ্রামের লোহাগাড়া সদর হাসপাতালে বা পদুয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়।এতে গ্রামের দরিদ্র মানুষের অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এছাড়া রাস্তার দুরাবস্থার কারণে রোগীদের নিয়ে যাওয়া ও ঝুকিপূর্ণ।
লামা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বাপ্পী বলেন,উদ্বোধনের পর থেকে সিকিউরিটি গার্ড মোঃ শামসুল আলম ভবনের অবকাঠামো পাহারায় রয়েছে। আমরা মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিকে সাব সেন্টার দেখিয়ে কিছু ঔষধ পত্রসহ মাসে দুইবার একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তার মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে আসছি।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর বান্দরবানের উপ পরিচালক দীপক কুমার সাহা এবিষয়ে বলেন,একজন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল কর্মকর্তা দিয়ে চিকিৎসা কার্যক্রম কোনো রকম সচল রাখা হয়েছে।