এম মনির চৌধুরী রানা চট্টগ্রামঃ
চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ে শব্দদূষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম গবেষণাগারের পরিচালক নাসিম ফারহানা শিরীনের সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন,চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমাদের দেশে মানুষের আইন অমান্য করার প্রবণতা বেশি। যার ফলে আইন থাকলেও প্রয়োগ সঠিকভাবে হচ্ছে না। শব্দ দূষণে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী শিশুরা। তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় আমাদের আরও সচেতন হতে হবে। দূষণ প্রতিরোধে সিটি করপোরেশনও দায় এড়াতে পারে না। আমাদের সবার দায়ভার আছে। নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যত নির্মাণে আমাদের কাজ করতে হবে। দূষণের দিক থেকে আমরা আর প্রথম হতে চাই না। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক হাসান হাছিবুর রহমান। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নাক কান গলা রোগ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মিটন চাকমা বলেন, শব্দ দূষণের কারণে বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় ৪৮ হাজার মানুষ হৃদরোগজনিত জটিলতায় পড়েন। পাশাপাশি ১২ হাজার শিশুর প্রিম্যাচিউর ডেথ হয়ে থাকে। তিনি জানান, আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে শব্দের মাত্রা প্রতি ১০ ডেসিবেল বাড়লে যেকোনো বয়সে স্ট্রোকের ঝুঁকি ১০ ভাগ বাড়তে পারে। ৬৫ বছরের বেশি মানুষের ক্ষেত্রে ১০ ডেসিবেল বাড়লে স্ট্রোকের ঝুঁকি ২৭ ভাগ বাড়ে। শুধু স্ট্রোক নয়, মেজাজ খিটখিটে, আচরণে অস্বাভাবিকতা ও অবসাদগ্রস্ততা বেড়ে যায়। এমনকি বধির হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। শব্দ দূষণে মায়ের গর্ভের শিশুর শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিতেও প্রভাব পড়ে।