মনিরুজ্জামান সোহান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
শায়েস্তাগঞ্জের পকেটমার চোর চক্রের গডফাদার ফারুক মিয়া জনগনের হাতে আটক হয়েছে এবং টাকা নেওয়ার কথা স্বীকারক্তি দিচ্ছে। এমন একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে হবিগঞ্জ জেলা জুড়ে ব্যাপক তোলপার চলছে।
জানা যায়, বহুদিন ধরে শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগরের বাসিন্দা ফারুক মিয়ার নেতৃত্বে হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে পকেটমার চক্রের সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, এ চক্রটি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংক, শপিং মল, কোর্ট প্রাঙ্গণে অবাধে ঘুরাফেরা করে। তাদের সঙ্গে ৫/৬ জন লোক থাকে। কোনো মানুষ ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে আসার পথে কৌশলে নিয়ে যায়। আবার ধরা পড়লে তাদের সাথে থাকা লোকজন ফারুক মিয়াকে ছাড়িয়ে নেয়। ফারুক ও তার সহযোগিরা ইতিমধ্যে পুলিশের হাতে আটক হলেও আইনের ফাঁকি দিয়ে বেরিয়ে এসে পুনরায় এসব কাজে জড়িয়ে পড়ে। তাদের হাত থেকে ব্যবসায়ী, প্রবাসী চাকরি জীবি, এমনকি সাধারণ মানুষরাও ছাড় পাচ্ছে না। প্রতিদিনই তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
গতকাল শহরের সবুজবাগ এলাকার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রতারণা করে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়। বিষয়টি সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ফারুক মিয়াকে কৌশলে সবুজবাগ এনে আটক করে। এ সময় সে নিজেই স্বীকার করে ৮ হাজার ৫৭০ টাকা নিয়েছে এবং শায়েস্তাগঞ্জে দাউদনগর এলাকার, ব্যবসায়ী আবুল হোসেনের কাছ থেকে বিকাশে টাকা এনে টাকার মালিক আসাদুল নামে এক ব্যক্তিকে দেয়। সে আরও জানায়, টাকা পেয়ে আবুল হোসেন ও অন্য সহযোগিদের কাছে জমা রাখে। তবে আসাদুলের দাবি ছিলো সে ১০ হাজার টাকা চুরি করেছে। কিন্তু ফারুক মিয়া স্বীকার করে যা ৪ মিনিটের একটি ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। তবে এসময় ফারুক মিয়াকে ব্যবসায়ীরা কিছু গনধুলাই দেয়। পরে সে ভবিষ্যতে এমন কাজ করবে না এ মর্মে অঙ্গীকার করে এবং নিজের মুখে পকেটমার চক্রের সভাপতি দাবি করে। পরে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। এ ছাড়া ফারুক মিয়া জানায়, সে চুরি এবং প্রতারণার টাকা সে একা নেয় না। হবিগঞ্জের মধ্যে সিন্ডিকেট আছে। তাদেরকেও ভাগ দিতে হয়। বেশিরভাগ টাকা সে নিয়েই থাকে।