মৌসুমী দাস, স্টাফ রিপোর্টারঃ
শীত আসতে না আসতে রাজশাহীর চারঘাটে আগাম খেজুর গাছ পরিচর্চায় ব্যস্ত সময় পার করছে গাছিরা। দিনে কিছুটা গরম হলেও সন্ধ্যা হলেই শীতের আগমন বার্তা চলে এসেছে। সকালেও শিশির ভেজার পথ। যা শীতের আগমনের বার্তা জানান দিচ্ছে। এরই মধ্যে উপজেলার গাছিরা আগাম খেজুর গাছ ঝুড়তে শুরু করেছে।
আগাম রস পাবার আশায় কিছু গাছি গাছের পরিচর্যা শুরু করেছে। শীতের মৌসুম শুরু হতে না হতেই খেজুরের রস আহরণের জন্য গাছিরা খেজুর গাছ প্রস্তত করতে শুরু করেছে। গাছিরা হাতে দা নিয়ে ও কোমরে ডোঙ্গা বেঁধে নিপুণ হাতে গাছ চাছাছোলা করছে।
এ মৌসুমে খেজুরের রস দিয়ে গ্রামীণ জনপদে শুরু হয় শীতের আমেজ। শীত যত বাড়বে খেজুরের রসের স্বাদ তত বাড়বে। সুস্বাদু পিঠা ও পায়েস তৈরিতে আবহমান কাল থেকে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে খেজুরের গুড় ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এখানকার কারিগরদের দানা গুড়, পাটালি গুড় তৈরিতে ব্যাপক সুনাম থাকায় খেজুরের গুড় পাটালির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে।
উপজেলার কেজিপুর গ্রামের গুড় উৎপাদন কারী ইমাজ উদ্দিন বলেন, হালকা হালকা শীতের আভাস পেতেই আগেই খেজুর গাছ থেকে রস আহরণের জন্য গাছকে আগাম প্রস্তত করে রাখছি। তিনি আরও বলেন, আমরা কোন কেমিক্যাল ছাড়াই ভেজাল মুক্ত স্বাস্থ্য সম্মত গুড় উৎপাদন করে থাকি।
চারঘাট উপজেলায় মোট ১ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৯০ টি খেজুরের গাছ আছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবীদ মামুন হাসান।
তিনি বলেন, আসন্ন শীত মৌসুমে ২ হাজার ১৬৭ টি মেট্রিক টন গুড় উৎপাদন হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মামুন হাসান বলেন, উপজেলায় ভেজাল মুক্ত খেজুরের গুড় উৎপাদনের লক্ষে ইতি মধ্যে গুড় উৎপাদনকারীদের সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষে প্রতিটি গ্রামে গ্রামে ব্যাপক ভাবে প্রচার প্রচারণা চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, কেউ ভেজাল গুড় তৈরি করলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।