মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে সরকারি রাস্তার গাছ কর্তন করে বালু দিয়ে ফসলি জমি ভরাট। এ ভরাট কাজে নিয়োজিত ড্রাম ট্রাক চলাচল করায় হুমকির মুখে পড়েছে কোটি টাকার রাস্তা। উপজেলার পাটাভোগ ইউনিয়নের বাইপাস রাস্তার টাওয়ারের সাথে এ ভরাটের কাজ চলছে। কোনো প্রকার নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই চলছে এ ভরাট কাজ। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বালু পড়ার কারণে যাতায়াতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষজন। সরেজমিনে দেখা যায়, ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের আন্ডারপাস সংলগ্ন প্রায় দেড় একর ফসলি জমি ভরাট করছেন শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যানের ছোট ভাই মাসুদ ও উথান মৃধা সহ প্রায় ১০ জনের প্রভাবশালী সিন্ডিকেট। লৌহজং উপজেলার মাওয়া ঘাটের আবু বক্কর এর গদি থেকে ড্রাম ট্রাকের মাধ্যমে বালু এনে ভরাট করা হচ্ছে। ফলে শ্রীনগর উপজেলার ঢাকা মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে থেকে দোহার যাতায়াতের প্রধান সড়কটি পড়েছে ব্যাপক হুমকির মুখে। এ ছাড়া ড্রাম ট্রাকে আনা বালু রাস্তার ওপরে এসে পড়ায় অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলে ঘটছে দুর্ঘটনা। আর সাধারণ মানুষজনের ভোগান্তি তো রয়েছেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হলেও এর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না তাঁরা বলে জানান এলাকাবাসী।
পাটাভোগ এলাকার বাসিন্দা মিলন ভূঁইয়া বলেন,এ রাস্তা দিয়ে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অর্ধশত বালুর গাড়ি চলাচল করে। এতে করে রাস্তার বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। ফসলি জমি ভরাট করা মাসুদ ও উথান মৃধা এদের কাছে জানতে চাইলে উথান মৃধা বলেন,আমি এ বিষয়ে কিছু জানিনা আপনি মাসুদের সাথে কথা বলেন। মাসুদের মুঠোফোনে কল করে ফসলি জমির ভরাট করার অনুমতি নিয়েছেন কিনা এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর না দিয়ে কল কেটে দেন। মাওয়া থেকে বালু দেওয়া গুদির মালিক আবু বক্কর বলেন, আমি এই বিষয়ে কিছু জানিনা শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যানের ভাই মাসুদ ও উথান মৃধা সহ১০ জন এই জমি ভরাট করছেন। আমার থেকে প্রতিদিন ড্রাম ট্রাক এ করে বালু নেয় আমি এর থেকে বেশি কিছু জানিনা। সরকারি রাস্তার গাছ কর্তনের বিষয়ে উপজেলা বন কর্মকর্তা এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব। এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাফফাত আরা সাঈদ বলেন, আমি এখন জানতে পারলাম তশিলদার পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।