নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সাতক্ষীরায় সংখ্যালঘুদের বাড়িতে হামলা ও অগ্নি সংযোগসহ মূল জমির মালিকদের উচ্ছেদের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘীরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভূয়া রেকর্ড সৃষ্টি করে উচ্চ আদালতের আদেশ অমান্য করে ১৫/১১/২২ তারিখে " শেখ মুজিব নগর খলিসাখালী আবাসন প্রকল্প" জোর করে অনুপ্রেবশ, অগ্নি সংযোগ, লুটপাট ও মারধর করছে এবং ভুক্তভোগীরা আইনের আশ্রয় নিলে তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে।
ভুক্তভোগী ও স্থানীয়দের সুত্রে জানাগেছে, সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মৃতঃ হরিপদ স্বর্ণকারের পুত্র সুনীল স্বর্ণকারের বাড়িতে গত সোমবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় অতর্কিত হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুবৃত্তরা। ১৫ নভেম্বর তারা আবারও দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে লাঠিয়াল বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা করে। স্থানীয় থানায় প্রতিকার না পেয়ে বাধ্য হয়ে ২২ নভেম্বর কোর্টে মামলা দায়ের করে দেবহাটার চাঁদপুর গ্রামের মৃত হরিপদ স্বর্ণকারের পুত্র সুনিল স্বর্ণকার। মামলা নং সিআরপি ২৫৭/২২।
মামলার বিবরণে জানাগেছে, সুনীল স্বর্ণকারসহ মোট ৪১ জন জমির মালিকের রেকডিও ও দখলীয় খলিশখালী মৌজার জমি জবরদখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছিল শিমুলিয়া গ্রামের মৃত কাজী আঃ মালেকের পুত্র কাজী গোলাম ওয়ারেশ, কাজী সুরুজ, আহছানিয়া মিশনের ইকবাল মাসুদ, সখিপুর গ্রামের নজরুল ইসলামসহ তাদের দোসররা । তারা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে জমি জবরদখলের লক্ষ্যে ভুমি মালিকদের (দলিল ও রেকর্ড মূলে) বিভিন্ন হয়রানী, মিথ্যা ও সাজানো মামলায় ক্ষতিগ্রস্থ করে আসছে।
অথচ সুনীল স্বর্ণকারসহ ৪১ জন দেবহাটা উপজেলার খলিশখালী মৌজায় সিএস খং ১৮১২, এসএ খং ২৯৬৬, বিআরএস খং ৩৩৮১, এসএ দাগ নং ১১১৭৫ ও হাল ৩৫১১৬ দাগের মোট ১৩' শ'২৫ বিঘা জমি ভোগ দখলে থেকে ঘেরভেঁড়ি করে আসছে। অপরদিকে কাজী গোলাম ওয়ারেশ ,ডাঃ নজরুল ইসলাম, ইকবাল মাসুদসহ ২৬ জন ব্যাক্তির নামে অবৈধ ভূমি দখলদারের তালিকা প্রকাশ করেছে। হাইকোর্ট ২০১৭ সালে তাদের এসএ রেকর্ড ভুয়া উল্লেখ করে রায় প্রদান করে।
অপর দিকে সুপ্রিম কোর্ট ২০২১ সালে হাই কোর্টের রায় বহাল রাখে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে উপজেলা ভূমি কর্মকর্তা সুধীন কুমার সরকার ২৬ জন অবৈধ দখলদারদের তালিকা প্রকাশ করে তাদের মধ্যে উল্লেখিত ব্যাক্তিবর্গ পরার্থলোভী পরস্পর একদলীয় ব্যাক্তি হইতেছে। তারা মোটা অংকের ঘুষের বিনিময়ে দিয়ে এসিল্যান্ড থেকে জ্বাল কাগজ সৃষ্টি করে সংখ্যালঘুদের উচ্ছেদ করে উক্ত জমি জবর দখলের চেষ্টা করে আসছে। উচ্চ আদালতে গত ২৭/০২/২২ তারিখে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে যে যেভাবে আছে সেভাবেই স্থিতি অবস্থায় থাকার আদেশ প্রদান করেন।
একই ভাবে ৩১/০৮/২২ তারিখের আদেশে আরও ৬ মাসের জন্য উক্ত আদেশ বর্ধিত করেন হাইকোর্ট, যার মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে। অথচ উচ্চ আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে, স্থানীয় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দীর্ঘদিন যাবত তপসীল বর্ণিত সম্পত্তিতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের উচ্ছেদের জন্য ১৫ নভেম্বর সকালে সংখ্যালঘুদের পরিবারসহ প্রকৃত ভুমির মালিকগনের এবং ভুমিহীনদের উচ্ছেদের পায়তারা করে এবং বসতবাড়ি ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে।
তাদের নৃশংস হামলা থেকে ধর্মীয় দরগাহ শরীফ পর্যন্ত রক্ষা পাইনি। বর্তমানে সুনিল স্বর্ণকারসহ ৪১ জন প্রকৃত জমির মালিকরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশ ও প্রশাসনের উদ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ এবং সুবিচার পাবার জন্য আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।