মাসুমা জাহান,বরিশাল ব্যুরোঃ
সূর্যদয় ও সূর্যাস্তের বেলাভূমি হিসেবে পরিচিত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। বছরের ১২ মাসই এ সৈকতে পর্যটকদের আনাগোনা থাকে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর সৈকতে পর্যটকের সংখ্যা আগের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। আগত এসব পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম স্পট ঝাউবন। কিন্তু সমুদ্রের করাল গ্রাসে প্রতিনিয়ত সাগর গর্ভে বিলীন হচ্ছে এই ঝাউবন। তাই সবুজ বেষ্টনী খ্যাত ঝাউবন রক্ষায় সরকারকে কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
জেলা বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত সৈকতের ২৩০ হেক্টর জমিতে তারা ঝাউ গাছের চারা রোপন করেছেন। এতে সৈকতে সবুজ বেষ্টনী তৈরী হয়। সবুজের সমারোহে সৈকতে এক মনোরম দৃশ্য ফুটে ওঠে। কিন্তু ২০১৫ সাল থেকে সমুদ্রের ঢেউয়ের ঝাপটায় শুরু হয় বালুক্ষয়। আর এ অব্যাহত বালুক্ষয়ে ভাঙতে শুরু করে ঝাউবন।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সমুদ্রের অস্বাভাবিক ঢেউয়ের কারণে ইতোমধ্যে সাগর গর্ভে দুই তৃতীয়াংশ ঝাউবন বিলীন হয়ে গেছে। সৈকতের বিভিন্ন স্থানে পড়ে আছে মরা ঝাউ গাছ। ঝাউবন পয়েন্টে সৃষ্টি হয়েছে ধ্বংস স্তুপের। এতে সৈকত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য হারাচ্ছে। এভাবে সারি সারি গাছ পড়ে থাকায় পর্যটকদের চলাচলে অনেকটা বেগ পেতে হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন ঠেকাতে না পরলে আগামী এক বছরের মধ্যে সৈকতের পুরো ঝাউবন সমুদ্রে বিলীনের আশঙ্কায় রয়েছেন স্থানীয়রা।
খুলনা থেকে আগত পর্যটক মোশারেফ-রহিমা দম্পত্তি জানান, কুয়াকাটার সব পর্যটন স্পটই আমাদের ভালো লেগেছে। তবে ঝাউবন পয়েন্টে সারি সারি গাছ পড়ে আছে। যেটা দেখতে আমাদের মোটেও ভালো লাগেনি। দেখে মনে হয়েছে এটি একটি ধ্বংসস্তূপ।
যশোর থেকে আসা পর্যটক সেলিম শেখ বলেন, ‘আমরা ৫ বন্ধু মিলে কুয়াকাটয় এসে গঙ্গামতি পয়েন্টে মোটরসাইকেল যোগে ঘুরতে যাই। কিন্তু সৈকতের বিভিন্ন পয়েন্টে মরা গাছ পরে থাকায় আমাদের যেতে আসতে অনেকটা সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
ঝাউবন পয়েন্ট এলাকার বাসিন্দা ষাটোর্ধ্ব রাজ্জাক মিয়া বলেন, ‘২০ বছর আগে এখান থেকে আরো ২ কিলোমিটার হেটে পর্যটকরা সৈকতের ঢেউ উপভোগ করতো। এখানে বিশাল ঝাউবন ছিলো। কিন্তু এখন ভাঙতে ভাঙতে সমুদ্র বলতে গেলে একেবারে বেড়িবাঁধের কাছে চলে এসেছে।
একই এলাকার অপর বাসিন্দা রিয়াজ গাজী বলেন, ‘আমরা যারা বেড়িবাঁধের বাইরে বসবাস করি তারা অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে আছি। ভাঙন ঠেকাতে না পারলে আমাদেরও ঘর বাড়ি সাগর গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।
পটুয়াখালী বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ঝাউবন বিলীন হওয়ার বিষয়টি ইতোমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া বর্তমানে সৈকতের স্থিতিশীল স্থানে আরো ঝাউ গাছ রোপণের পরিকল্পলনা গ্রহণ করা হয়েছে। সৈকতে পড়ে থাকা ঝাউগাছ অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
দাইয়ানুর রহমান (সম্পাদক) তাপস কুমার ঘোষ (প্রকাশক) শিমুল হোসেন, (নির্বাহী সম্পাদক) আজহারুল ইসলাম-বাবলু হোসেন ( নির্বাহী সম্পাদক)
অফিসঃ পশ্চিম শেওড়াপাড়া- ইকবল রোড বাসা নং- ৪১৬/৪ মিরপুর ঢাকা-১২১৬,
Email: Info@sumoyersonlap.com, taposhg588@gmail.com,shimul00252@gmail.com
01715522822, 01728.855627, 01710118632, 01709255325
https://www.sumoyersonlap.com
কপি করা নিষিদ্ধ ও দণ্ডনীয় অপরাধ।