সর্বদাই থাকে তালাবন্ধ: কমিউনিটি ক্লিনিকে সেবা না পেয়ে প্রতিদিন ফিরে যায় অর্ধশত মানুষ।
জয়ন্ত সাহা যতন,স্টাফ রিপোর্টারঃ
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক সর্বানন্দ কালিরগর গ্রামে তালুক সর্বানন্দ কমিউনিটি ক্লিনিক প্রায়ই তালাবন্ধ থাকে। সেবাদান কারী (সিএইচসিপি)ক্লিনিকে না আসায় সরকারি চিকিৎসা না পেয়ে প্রায় দিনই ফিরে যেতে হচ্ছে সেবা নিতে আসা অর্ধশত রোগীদের।
জানাযায়,সর্বানন্দ ইউনিয়নের তালুক সর্বানন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাদান কারী(সিএইচসিপি) প্রায় দুই বছর থেকে পদ শুন্য হওয়ায় ঐ ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী সুলতানা বেগম কে দায়িত্ব দেওয়া হয় সিএইচসিপি’র।স্বাস্থ্য সহকারী সুলতানা বেগম প্রায় ২বছর থেকে সেবাদান কারী(সিএইচসিপি)দায়িত্ব পালন করে আসছেন। উপজেলার তালুক সর্বানন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেবাদান কারীর (সিএইচসিপি) বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,কমিউনিটি ক্লিনিকে বেশ কয়েকজন রোগী ওই ক্লিনিকের সামনে ঘোরাঘুরি করছেন। ওষুধ নিতে আসা ঐ ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে জানাযায়,তালুক সর্বানন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা পাওয়া যায় না।দায়িত্ব প্রাপ্ত সেবাদান কারীর (সিএইচসিপি) জন্য অপেক্ষা করতে হয়। কখন আসবে কোনদিন আসবে সে খবরও কারো জানা নেই।এমনকি মাসে একবার আসলেও তড়িঘড়ি করে ওষুধ দিয়ে ক্লিনিক থেকে সটকে পড়েন।সেবা নিতে আসা রোগীরা জানান,ওষুধপাতি প্রতিদিন না দেওয়ায় ওষুধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়া সেগুলো বাহিরে ফেলে দেন।
স্থানীয়রা জানান, দায়িত্ব প্রাপ্ত সেবাদান কারী সুলতানা বেগম(সিএইচসিপি) ক্লিনিকে প্রতিদিন না আসা ও ওষুধপাতি রোগীরা না পাওয়ার বিষয়ে কিছু বললেই তিনি ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন এবং তাদের নানান ধরনের গালমন্দ করেন।তার এমন অসদাচরণ দেখে পরবর্তীতে কাউকে কিছু বলার সাহস পায়না।স্থানীয়রা আরো জানান,কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেবাদান কারী (সিএইচসিপি) সুলতানা বেগম নিজের মনগড়া ভাবে সেবা দেন সরকারী নিয়মনীতির কোন তোয়াক্কা করেন না।
যদিও নিয়ম আছে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত সেবাদান কারী(সিএইচসিপি) বসবেন রোগীদের সেবা দিতে কিন্তু প্রতিমাসের প্রায় দিনই তালাবন্ধ থাকে এ ক্লিনিক। যদিও মাসে দুএক দিন দায়িত্ব প্রাপ্ত সেবাদান কারী (সিএইচসিপি) আসেন কোনো দিন বেলা ১১টা আবার কোনো দিন ১২টায়। এক থেকে দুই ঘণ্টা কিংবা জোহরের আযান কানে পৌছা মাত্র ক্লিনিক তালাবন্ধ করে চলে যান। সপ্তাহে কোন দিন খোলা থাকবে এ কমিউনিটি ক্লিনিক সেটাও নির্দিষ্ট করে স্থানীয়দের কেউই বলতে পারে না। প্রায় প্রতিদিন ওই ক্লিনিকে সেবা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় অর্ধশত মানুষকে।
টানা কয়েকদিনের চেষ্টার পরেও তালুক সর্বানন্দ কমিউনিটি ক্লিনিক এর দায়িত্ব প্রাপ্ত সেবাদান কারী(সিএইচসিপি) সুলতানা বেগমের সাক্ষাত পাওয়া যায়নি ক্লিনিকে।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ হাবিবুর রহমান বলেন,তালুক সর্বানন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকে পদশুন্য থাকায় সর্বানন্দের ২নং ওয়ার্ডের স্বাস্থ্য সহকারী সুলতানা বেগম কে সিএইচসিপি’র দায়িত্ব দেওয়া হয়।প্রায় দুই বছর থেকে তিনি ঐ ক্লিনিকের সব দায়িত্ব পালন করে আসছেন।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃমোহাম্মদ আবুল ফাত্তাহ জানান, তালুক সর্বানন্দ কমিউনিটি ক্লিনিকের দায়িত্ব প্রাপ্ত সেবাদান কারীর (সিএইচসিপি) বিষয়টি অবগত হয়েছি সরেজমিনে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।