স্টাফ রিপোর্টারঃ যমুনা টেলিভিশনের করেসপনডেন্ট জিল্লুর রহমান পলাশসহ গাইবান্ধার পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে দায়ের করা সুন্দরগঞ্জের সাবেক প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নুরুন্নবী সরকারের মানহানির দুই মামলার অভিযোগ (চার্জ) গঠনের ওপর শুনানি আরেক দফা পিছিয়েছে। নতুন করে আগামী ১৬ জানুয়ারী অভিযোগ গঠনের তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সাংবাদিকদের পক্ষের আইনজীবির সময় চেয়ে করা আবেদনের প্রেক্ষিতে সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. রাজু আহম্মেদ এই দিন ধার্য করেন। গত ২ আগষ্ট মামলা দুটির চার্জ গঠন শুনানির জন্য ৩১ অক্টোবর (আজ) দিন ধার্য করেছিলেন একই আদালত। এরআগে, গত ২৪ ও ২৫ এপ্রিল মামলা দুটির চার্জ শুনানির দিন ছিলো।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের পক্ষের আইনজীবি মো. ফরহাদ হোসেন লিটু জানান, চার্জ শুনানির জন্য আদালতে মামলার বাদী নুরুন্নবী সরকার আইনজীবিসহ উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু বিবাদী ৫ সাংবাদিক পেশাগত কারণে আদালতে হাজির হতে না পারায় সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত ন্যায় বিচারের স্বার্থে শুনানি শেষে আগামী ১৬ জানুয়ারী পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এরআগের ধার্য দিনে হয়রানির উদ্দেশ্যে করা এই মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে সাংবাদিকদের পক্ষে আদালতে আবেদনসহ নানা তথ্য-প্রমাণ দাখিল করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত ২ আগষ্ট হাজিরা দিতে আসা পাঁচ সাংবাদিককে আদালতের বারান্দায় আঙুল উঁচিয়ে অকথ্য গালাগাল ও হুমকি দেয় মামলার বাদী পিআইও নুরুন্নবী সরকার। হুমকির ওই ভিডিও চিত্র প্রচার হয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যমে। এ ঘটনায় নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে রংপুর কোতয়ালী থানায় জিডি করেন সাংবাদিক জিল্লুর রহমান পলাশ। যার জিডি নং ৩৭৭। জিডিটি তদন্তের জন্য কোতয়ালী থানার সাব-ইন্সপেক্টর বিজন সাহা অনুমতি চেয়ে আদালতে পাঠালে গত ১৮ আগষ্ট তা মঞ্জুর করেন বিচারক। ইতোমধ্যে বিবাদী নুরুন্নবী সরকারের নাম-ঠিকানা অনুসন্ধানে কুড়িগ্রাম থানায় পত্র পাঠিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত : ঘুষ ও দুর্নীতিতে আলোচিত নুরুন্নবী সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক প্রতিবেদন প্রচার করে যমুনা টিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম। তদন্তে আর্থিক দুর্নীতি ও অসদচারণসহ একাধিক অভিযোগের প্রমাণ মেলায় তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় দুটি মামলাসহ লঘুদণ্ড দেয় অধিদফতর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর ১২ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে রংপুর আদালতে মানহানির নুরুন্নবী সরকার বাদী হয়ে দুটি মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে তদন্ত শেষে ৭ জনকে অব্যাহতি দিয়ে সাংবাদিক পলাশসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন জমা দেয় পিবিআই।